আগামী ১লা জুলাই থেকে কলকাতায় মেট্রো পরিষেবা চালু হোক এমনটাই চাইছে রাজ্য সরকার। যত আসন তত যাত্রী নিয়ে চলুক মেট্রো। এমনটাই চাইছে রাজ্য সরকার। কিন্তু যাত্রীদের আটকানো সম্ভব কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন মেট্রো আধিকারিকরা। রেল বিশেষজ্ঞ সুভাষ রঞ্জন ঠাকুর জানাচ্ছেন, একটি রেকে, ৮ টি করে কোচ আছে। প্রতি কোচে ৪টি করে (একমুখী) দরজা আছে। ফলে একটা স্টেশনে একটা মেট্রো আসলে ৩২ টা দরজা খুলবে। দুটো মেট্রো (আপ ও ডাউনে) আসলে ৬৪ খানা দরজা খুলবে। এত গুলো দরজায় নজরদারি করার মতো আর পি এফ নেই৷ ফলে কলকাতা পুলিশ ও জি আর পি কে সাহায্য করতেই হবে। মহারাষ্ট্র মডেল ফলো করা হোক। যেখানে শুধু মাত্র প্রায়োরিটি মানে এমারজেন্সি পরিষেবার ব্যক্তিদের যাতায়াত করতে দেওয়া হোক।তিনটে গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল পড়ে এই মেট্রো রুটে শ্যামবাজার স্টেশন - আর জি কর, সেন্ট্রাল স্টেশন - মেডিকেল কলেজ ও রবীন্দ্র সদন স্টেশন - এস এস কে এম। ডাক্তার, চিকিৎসা কর্মী, রোগীর বাড়ির লোকেরা প্রায়োরিটি পাক। যদি দমদম, বা টালিগঞ্জ থেকে মেট্রো আসন ভর্তি হয়ে আসে। তাহলে মাঝের স্টেশনের যাত্রীরা উঠতেই তো পারবে না। স্পর্শ এড়াতে স্মার্ট কাড ব্যবহার হোক। টোকেনে স্পর্শ হয়।স্টেশনের মধ্যে না হয় ঢুকতে দেওয়া হল না। লাইন তাহলে অপেক্ষারত যাত্রীদের জন্যে বাইরে পড়বে। সেই ক্রাউড কন্ট্রোল কে করবে? রাজ্য ও মেট্রো রেল যৌথ ভাবে তাই প্রায়োরিটি এমারজেন্সি ক্ষেত্রে স্পেশাল পাস দিয়ে দিক।যদিও মেট্রো রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, সুড়ঙ্গ মধ্যে মহারাষ্ট্র মডেল অণুসরণ করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি মেট্রো কোচে যাত্রী বসিয়ে নিয়ে গেলেও তারা সংক্রমণের আশংকা করছেন।
advertisement
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই মেট্রো চালানো একটা চ্যালেঞ্জ। যেভাবে প্রতিদিন গোটা দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে এই অবস্থায় মেট্রো কিভাবে চালানো হবে সেটাই ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।" সূত্রের খবর, আগামীকাল মেট্রো নিয়ে রেলের সাথে আলোচনা করতে চায় রাজ্য। তার পরেই মেট্রো আধিকারিকদের নিজস্ব একটি বৈঠক হওয়ার কথা। তবে পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে ১লা জুলাই থেকে কলকাতায় আদৌ মেট্রো চলবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয়।
ABIR GHOSHAL