এই অবস্থায় রাজ্য সভাপতির পদত্যাগ চাইছেন দলের মন্ত্রী সহ নেতারা তা নিয়ে যথেষ্ট বিপাকে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। গোটা ঘটনায় সুদীপ-আশিষের ইন্ধন আছে বলে অভিযোগ করছেন ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির একাংশ। বিজেপি নেতাদের তরফে যে তিন পাতার চিঠি দেওয়া হয়েছে তার মূল বিষয় হল, মাণিক সাহা দলের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্য বিজেপির সংগঠনের দশা বেহাল হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রয়াত সাধন পান্ডের দখলে সেই রেকর্ড, যা স্বয়ং তাঁর দলনেত্রীরও নেই!
স্বশাসিত জেলা পরিষদের ভোটে হেরেছে বিজেপি। সেই স্থান দখল করেছে তিপ্রামোথা। দুই বিধায়ক দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ফলে নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মাণিক সাহাই দলের সভাপতি থাকলে ভোটের লড়াই তাদের জন্যে বেশ কঠিনই হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে এর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধেই সরব হচ্ছে দলের একাংশ৷
আরও পড়ুন: বড় খবর! নাম বাদ মুকুল-শোভন-সব্যসাচীর! কোথা থেকে, কেন বাদ গেল ত্রয়ীর নাম?
কারণ বিজেপি রাজ্য সভাপতি মাণিক সাহা, বিপ্লব দেব ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। যারা চিঠি দিয়েছেন তারা বলছেন, সংগঠনের কাজ চালানোর মতো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই মাণিক সাহার। তিনি ২০১৬ সালে দলে যোগ দেন। তার পরেই কয়েক বছরের মধ্যে তাকে দলের রাজ্য সভাপতি বদে বসিয়ে দেওয়া হয়। সংগঠনে ১০ বছর কাজ না করার আগেই তাকে রাজ্যের সভাপতি করে দেওয়া হল। আসলে মাণিক সাহার মাধ্যমে, বিপ্লব দেব দলের রাশ ধরে রাখছেন বলে তারা মনে করছেন। তাই এই চিঠি আসলে পরোক্ষ ভাবে বিপ্লব দেবের উদ্দেশ্যেই বলে মত একাংশের। তবে গোটা চ্যাপ্টারকেই ''জঘন্য কাজ" বলেই উল্লেখ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।