পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন। রাস্তায় রাস্তায় হোডিং। হাই-রাইজ প্রিমিয়াম থেকে মধ্যবিত্তদের আবাসন প্রকল্প। ফ্ল্যাটের ছড়াছড়ি। কিন্তু ক্রেতা কোথায়? ২০১৪ থেকেই রাজ্যে আবাসনের বাজার মন্দা। নোট-বাতিলের চাপ আরও বাড়লেও আশা হারায়নি আবাসন শিল্প। গৃহঋণে সুদ কমা, কর ছাড়ে ঘুরে দাঁড়ানোতেই বাজি রেখেছিল রাজ্যের ছোট-বড় আবাসন নির্মাতা। প্রত্যাশা মতোই ছাড় দিলেন অর্থমন্ত্রী ৷
এদিনে বাজেটে অরুণ জেটলি জানান, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা এক বছরের অধিক অবিক্রিত স্টকের উপর কর ছাড় পাবেন ৷ একইসঙ্গে বাড়ির করের নয়া নিয়ম অনুযায়ী এবার থেকে বিল্ড আপ-এর বদলে কার্পেট এরিয়ার পরিমাপ অনুযায়ী কর দিতে হবে ৷ এই নিয়মের ফলে প্রোমোটার এবং ক্রেতা উভয়েই বিপুল কর ছাড় পাবেন ৷
advertisement
বাড়ি কিনতে উত্সাহ দিতে নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের ৷ শুধুমাত্র কার্পেট এরিয়ার দাম দিতে হবে ৷ মেট্রো শহরে যুক্ত হবে ৩০ বর্গমিটারের দাম ৷ অন্যান্য শহরে যুক্ত হবে ৬০ বর্গমিটারের দাম ৷ অর্থাৎ এখন থেকে মেট্রো শহরগুলিতে বিল্ড আপের বদলে কার্পেট এরিয়া ৩০ স্কোয়ার মিটার হারে কর দিতে হবে প্রোমোটার এবং উপভোক্তাকে ৷ বাকি শহরগুলির ক্ষেত্রে এবং টায়ার-১ ও টায়ার-২ ফেজের আবাসনগুলিতে কার্পেট এরিয়ায় ৬০ স্কোয়ার মিটার হারে কর দিতে হবে ৷
এছাড়াও নয়া বাজেট নীতি অনুসারে প্রথম বার গৃহ ঋণ নিলে গ্রাহকেরা ১২ লাখ টাকার উপর তিন শতাংশ এবং ৯ লাখ টাকার উপর ৪ শতাংশ হারে কর ছাড় পাবেন ৷ পয়লা এপ্রিল থেকেই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি থেকে নয়া নীতিতে গৃহঋণ মিলবে ৷ গত ৩১ ডিসেম্বর ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণে ৩ থেকে ৪ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
কয়েকবছর ধরেই বাজার মন্দা। আবাসনের বাজার খারাপ। তবে বাণিজ্যিক জায়গার বাজার একেবারে তলানিতে। নোট বাতিলের পর সেই মন্দা আরও প্রকট হয়েছে। আবাসনের চাহিদা থাকলেও গত ২ বছরে কম মিলেছে গৃহঋণ। ফ্ল্যাট কেনার ইচ্ছে থাকলেও তাই শেষ মুহুর্তে পিছিয়ে আসতে হয়েছে অনেককেই। এবার অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় হাসি ফুটেছে তাদের মুখে ৷ এবার একান্ত স্বপ্নের আশ্রয় হবে মধুর বাস্তব ৷