ইন্ডিগো-র পাইলট, বিমানকর্মী এবং গ্রাউন্ড স্টাফদের পক্ষ থেকে এই খোলা চিঠি লেখা হয়েছে৷ সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রত্যেকটি বিমানবন্দরে যাত্রীদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে ইন্ডিগো-র কর্মীদের৷ সাধারণ মানুষ কর্মীদের উপরেই তাঁদের রাগ উগড়ে দিচ্ছেন, কর্মীদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে৷ যদিও এই সময়ে কৌশলগত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি৷
কর্মীদের আরও মারাত্মক অভিযোগ, ডিজিসিএ বিমানসংস্থাগুলির জন্য যে কঠোর গাইডলাইন বলবৎ করেছে, সেগুলি শিথিল করার জন্য পাল্টা চাপ সৃষ্টি করতেই ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ বিমান বাতিলের এই কৌশল নিয়েছে৷ চিঠিতে লেখা হয়েছে, ঠিক যে সময়ে ডিজিসিএ-এর নতুন বিধিনিষেধ বলবৎ হওয়ার কথা, ঠিক তখনই এই ব্যাপক হারে বিমান বাতিলের ঘটনা ঘটল৷ ফলে আসলে কী ঘটছে, তা সবার কাছেই স্পষ্ট৷ সংস্থার পরিচালনার ক্ষেত্রে যে ব্যর্থতা রয়েছে, তাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করে আরও বাড়তে দেওয়া হয়েছে৷ যাতে সরকারের উপরে এই নতুন গাইডলাইন কার্যকর করার সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য চাপ দেওয়া যায়৷ ইচ্ছাকৃত ভাবে হোক অথবা অন্য কারণে, এই টানাপোড়েনের মাঝে সামনে থেকে কাজ করা কর্মীদের ফেলে দিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করা হল৷’
ইন্ডিগো-র কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমরা ডিউটি রোস্টার ডিজাইন করিনি৷ আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করিনি৷ আমরা এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে যে প্রস্তূতি প্রয়োজন, তাতে বাধা দিইনি৷ তা সত্ত্বেও জনতার রোষ পড়ছে আমাদের উপরেই৷’
এই পরিস্থিতির জন্য ইন্ডিগো-র শীর্ষ স্তরের যাঁরাই দায়ী, তাঁদের জনসমক্ষে এসে দায় নিতে হবে বলে দাবি করেছেন ইন্ডিগো-র এই কর্মীরা৷ সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের জনতার রোষ থেকে রক্ষা করতে হবে৷ সরকারি নির্দেশিকা কার্যকর না করতেই পাল্টা চাপের এই কৌশল কি না, তা স্পষ্ট করা৷ এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না, সেই আশ্বাসও দাবি করেছেন ইন্ডিগো-র কর্মীরা৷
