সহ নাগরিক এবং ইন্ডিগো-র শীর্ষ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে লেখা এই খোলা চিঠিতে গত কয়েকদিনের বিপর্যয়ের জন্য সিইও পিটার এলবারস সহ সংস্থার অন্তত ৮ জন শীর্ষ কর্তার নাম করে তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছে৷ গত কয়েকদিন ধরে ইন্ডিগো-র পরিষেবায় যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, তার জন্য এই শীর্ষ কর্তাদেরই দায়ী করা হয়েছে ওই চিঠিতে৷
advertisement
চিঠির লেখক নিজেকে সংস্থার ভিতরের একজন বলে দাবি করলেও পরিচয় গোপন রেখেছেন৷ চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, ইন্ডিগো-র পাইলট সহ সংস্থার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেই জানতেন, ইন্ডিগো-র পরিষেবা যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে৷ চিঠিতে আরও দাবি করা হয়েছে, এক দিনে নয়, বরং বছর পর বছর ধরে চলা গাফিলতির জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা এই চিঠি ইন্ডিগো পাইলটদের পক্ষ থেকে লেখা ববে দাবি করা হয়েছে৷ যদিও চিঠিটির লেখক একজনই৷ তিনি দাবি করেছেন, ‘আমার সহ নাগরিক এবং ইন্ডিগো-র শীর্ষ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে এই চিঠি লিখছি৷ সংস্থার মুখপাত্র অথবা কর্পোরেট ভাষার আড়ালে লুকিয়ে থেকে নয়, বরং ইন্ডিগো-র একজন কর্মী যিনি সবধরনের শিফটে কাজ করেছেন, বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন, অপদস্থ হয়েছেন, সঙ্কুচিত পারিশ্রমিক পেয়েছেন এবং অসম্ভব ডিউটি রোস্টার মেনে কাজ করেছেন, সেরকমই একজন হিসেবে এই চিঠিটি লিখছি৷’
এর পরই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বিষয়টি এখন আর শুধু ইন্ডিগো-র অন্দরে আটকে নেই৷ এটা এখন লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের জীবনে প্রভাব ফেলেছে৷ আমি চাই, ইন্ডিগো-র ভিতরের কী চলে তা খুব ভাল ভাবে জানেন এমন কারও মুখ থেকে সবাই বিষয়টি শুনুন৷ একরাতে কোনও কিছু হয়নি৷ ইন্ডিগো-তে কর্মরত আমরা সবাই জানতাম যে এরকম কিছু একটা ঘটতে চলেছে৷ এই পতনের জন্য বছরের পর বছরের অবহেলাই দায়ী৷’
যে এক্স হ্যান্ডেলে এই চিঠি পোস্ট করা হয়েছে, সেই হ্যান্ডেল থেকেই অন্য একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে, পাইলটদের সাপ্তাহিক পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে ডিজিসিএ যে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে, তা বাতিল করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতেই ইন্ডিগো-র শীর্ষ কর্তৃপক্ষ এই কৌশল নিয়েছে৷ চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, ২০০৬ সালে পথচলা শুরু হওয়ার পর ইন্ডিগো-র কর্মকাণ্ড যেভাবে বিস্তার লাভ করেছে, তাতে সংস্থার শীর্ষ কর্তারা আরও লোভী এবং দাম্ভিক হয়ে উঠেছিলেন৷ এমন কি, অযোগ্যদেরও সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্টের মতো শীর্ষ পদে বসানো হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে৷
