জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পাল্টা কৌশল খুঁজতে মরিয়া পাকিস্তান। তারা একের পর এক পদক্ষেপ করে চলেছে। শুক্রবার ফের একতরফাভাবে বাতিল করেছে থর এক্সপ্রেস।
৪১ বছর বন্ধ থাকার পরে ২০০৬ সালে এই ট্রেন চালু হয় ৷ ঐতিহ্যবাহী এই ট্রেন ছাড়ে প্রতি শুক্রবার রাতে রাজস্থানের যোধপুরের ভগত কি কোঠি স্টেশন থেকে যায় পাকিস্তানের করাচি ৷ এর আগে বৃহস্পতিবার সমঝোতা এক্সপ্রেস বাতিল করে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতেই উঠেপড়ে লেগেছে ইসলামাবাদ। তাদের লক্ষ্য, দু’দেশের সম্পর্ক বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বলে দুনিয়ার সামনে দেখাতে। যাতে কাশ্মীর নিয়ে আমেরিকার মতো দেশের মধ্যস্থতার পক্ষে আরও জোরাল সওয়াল করা যায়। এর পালটা বৃহস্পতিবারই দেয় ভারত। শুক্রবার আরও কড়া জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি।
advertisement
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন , কাশ্মীরের উন্নতি হলে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাবে বলেই পাকিস্তান চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। সমঝোতা এক্সপ্রেস হোক বা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ, এ সব সিদ্ধান্তই একতরফাভাবে নিয়েছে পাকিস্তান। আমরা পুনর্বিবেচনা করতে বলেছি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক পাকিস্তান। আমরা বিশ্বের দরবারে নিজেদের এই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি।
পাকিস্তান অবশ্য পাকিস্তানেই আছে। বলিউডের ফিল্ম বন্ধের পর, সে দেশে এবার ভারতীয় চ্যানেলও বন্ধ করে দিল ইসলামাবাদ। ক্লিপিংস, প্রোমো, গান, খবর, বিজ্ঞাপন, রাজনৈতিক আলোচনা--কিছুই দেখানো যাবে না। ভারতের কোনও সেলিব্রিটি বা রাজনৈতিক ব্যক্তির মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রেও নিউজ চ্যানেলগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এখানেই থেমে থাকেনি পাকিস্তান। তারা এখন চিনকে পাশে পেতে মরিয়া। শুক্রবারই পাক বিদেশমন্ত্রী বেজিং সফরে যান। পাক সেনাও সুর চড়াচ্ছে। তাদের দাবি, ভারত ফের বালাকোটের মতো অভিযান চালালে তারা নাকি আরও জোরদার প্রত্যাঘাত করবে।