নির্বাচন কমিশন জানায়, ৩ নভেম্বর-ই ভোট দিয়েছিলেন নেগি। বুধবার হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছিলেন তিনি। সেটিই ছিল তাঁর শেষ ভোট প্রদান। ইলেকশন কমিশনের তরফে জানানো হয়, গণতন্ত্রের উপর ব্যাপক আস্থা ছিল নেগির। কমিশনের মুখপাত্র জানান, '' শুধুমাত্র স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটারই নন, নেগি এমন একজন মানুষ, যাঁর গণতন্ত্রের উপর আস্থা দেখে মুগ্ধ হতে হত। শ্যামশরণ নেগি মৃতুতে আমরা শোকস্তব্ধ, জাতির প্রতি তাঁর অবদানে আমরা কৃতজ্ঞ।''
advertisement
১৯১৭ সালের ১ জুলাই শ্যামশরণ নেগির জন্ম হয় হিমাচল প্রদেশে। জীবনের একটা বড় সময় কাটিয়েছেন কল্পা গ্রামে স্কুল শিক্ষক হিসাবে। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতে প্রথম ভোট হয়। সেই বছর ২৫ অক্টোবর দেশের প্রথম নাগরিক হিসাবে ভোট দেন নেগি। দেশের অধিকাংশ এলাকায় ভোট হয়েছিল ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তবে হিমাচল প্রদেশে ফেব্রুয়ারি মাসের আবহাওয়া ভোটের পক্ষে অনুকূল ছিল না। তাই সেখানে ৫ মাস আগেই নির্বাচন হয়। তখন প্রথম ভোট দিয়েছিলেন নেগি।
শনিবার ট্যুইটারে পোল প্যানেল জানিয়েছে, '' লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছেন নেগি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি ভোট দিয়েছেন। বুধবার হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছিলেন তিনি।''
নেগির মৃত্যুতে পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সময়েও তাঁর শরীর অত্যন্ত খারাপ ছিল। বুধবার কিন্নরের ডেপুটি কমিশনার আমির সাদিকের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা তাঁদের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ শ্যামশরণ নেগির কল্পার বাড়িতে গিয়ে তাঁর ভোট সংগ্রহ করেন। সেই সময় একপ্রকার শয্যাশায়ী ছিলেএন নেগি।