ইরানের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে পর্তুগাল। সেই সঙ্গে বাকি ১৭ জন জাহাজের কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে। ইরানের বক্তব্য, ওই কন্টেনার জাহাজটিকে যখন আটক করা হয়েছিল, তখন তার সঙ্গে ইজরায়েলি যোগের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। ইরানের আধাসামরিক রেভলিউশনারি গার্ড গত মাসে পর্তুগিজ পতাকাধারী এমএসসি এরিজকে আটক করেছিল। এর সঙ্গে ইজরায়েল যোগের ইঙ্গিত মিলেছিল। এই জাহাজে ছিলেন প্রচুর ভারতীয় নাগরিক। মূলত গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইজরায়েলের সঙ্গে অশান্তি চলাকালীন স্ট্রেইট অফ হরমুজের কাছ থেকেই আটক করা হয়েছিল সেটিকে।
advertisement
আরও পড়ুন: পৃথিবীর কোথায় ‘লুকিয়ে’ আছে এলিয়েনরা? নাসা-র বিজ্ঞানীর দাবিতে তোলপাড়! ভয়ে শিউরে উঠবেন
এমএসসি এরিজ-এ থাকা ১৭ জন ভারতীয় কর্মীর মধ্যে একমাত্র মহিলা ক্যাডেট ছিলেন অ্যান টেসা জোসেফ। তেহরান এবং ইরানি সরকারের ভারতীয় মিশন প্রচুর তদ্বির করার পর অ্যান টেসা জোসেফকে গত ১৮ এপ্রিল নাগাদ মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ওই দিনেই তিনি ভারতে পৌঁছেছিলেন। কেরলের কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার তাঁকে স্বাগত জানান। বর্তমানে আরও ৫ ভারতীয় নাগরিকের মুক্তির পরে এখনও জাহাজের ১১ জন ভারতীয় কর্মী ইরানের হাতেই রয়ে গিয়েছেন। যদিও ভারত সরকার এই পরিসংখ্যানটা এখনও নিশ্চিত করেনি।
গত সপ্তাহে ইরানের বিদেশ মন্ত্রী হোসেন আমিরাদোল্লাহিয়ান বলেন, ইরান ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের সঙ্গে যুক্ত আটক করা পর্তুগিজ পতাকাধারী জাহাজটির কর্মীদের মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু জাহাজটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান যে, জাহাজের কর্মীদের মানবিকতার খাতিরে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জাহাজের ক্যাপ্টেন-সহ মুক্তি কর্মীরা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারেন। যদিও ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আগে জানানো হয়েছিল যে, সামুদ্রিক আইন লঙ্ঘন করার জেরে এরিজ নামে জাহাজটিকে আটক করা হয়েছিল। তবে এর সঙ্গে যে ইজরায়েলের যোগ রয়েছে, সে বিষয়ে কোনও নেই।