সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিকীকরণের প্রচেষ্টা হিসেবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ১৫ মার্চ, ২০২৩ তারিখে দুধনৈ-মেন্দিপাথার (২২.৮২৩ কিলোমিটার) সিঙ্গল লাইন সেকশন এবং অভয়াপুরী-পঞ্চরত্ন (৩৪.৫৯ কিলোমিটার) ডাবল লাইন সেকশন চালু করে অন্য আরেকটি মাইলস্টোন অর্জন করতে সক্ষম হয়। এই সেকশনে বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ সম্পন্ন করেছে সেন্ট্রাল অর্গানাইজেশন ফর রেলওয়ে ইলেকট্রিফিকেশন (ক’র)।
আরও পড়ুন: সাতসকালে এ কী কাণ্ড! রেল স্টেশনের টিভিতে অ্যাডাল্ট ফিল্ম! টানা ৩ মিনিট চলল 'নীল ছবি'
advertisement
মেন্দিপাথার হল উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের একমাত্র রেলওয়ে স্টেশন, যা প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা উদ্বোধনের পর ২০১৪ সাল থেকে চালু রয়েছে। ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন চালু হওয়ার পর থেকে ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ দ্বারা চালানো ট্রেন এখন থেকে মেঘালয়ের মেন্দিপাথার থেকে সরাসরি পরিচালনা করা যাবে, যার ফলে ট্রেনের গড় গতি বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: এক বছরে ৩ কোটি টাকারও বেশি জরিমানা আদায় করে তাক লাগিয়ে দিলেন ৩ TC, আপনি টিকিট কাটেন তো?
এ ছাড়াও এই সেকশনগুলির মাধ্যমে আরও বেশি যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন সম্পূর্ণ সেকশনাল স্পিড সহ চালানো সম্ভব হবে। এই সেকশনে ট্রেনের সময়ানুবর্তিতাও বৃদ্ধি পাবে। অন্যান্য রাজ্য থেকে ইলেকট্রিক লোকোমোটিভের দ্বারা চালানো পার্সেল ও পণ্যবাহী ট্রেনগুলি সরাসরি মেঘালয়ে পৌঁছতে পারবে। বৈদ্যুতিকীকরণের ফলে উত্তর পূর্ব ভারতে ট্রেনের চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে।
দূষণ হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি এই অঞ্চলে রেলের সিস্টেমেরও উন্নতি ঘটবে। এর ফলে বাধাহীন যাতায়তের সুবিধা হবে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে যাওয়া-আসা করা ট্রেনগুলির সময়ও বাঁচবে।মেঘালয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্যতম ভরসা বিমান বা সড়ক পথ। এক্ষেত্রে রেল পরিষেবা চালু হয়ে গেলে যাতায়াতে অনেক সুবিধা বাড়বে। পাশাপাশি বাণিজ্যের কাজে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর ধীরে ধীরে ট্রেন বাড়ানো হবে।