উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে মোট ২৯৭৫.২৩ কিমি রুটের বৈদ্যুতিকীকরণ করা হবে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মোট বৈদ্যুতিকীকরণ রুটের মধ্যে অসমের ৭৪৮.৪০৯ কিমি এবং মেঘালয়ের ৯.৫৮ কিমি ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। ২০২৩-এর মার্চ মাসে মেঘালয় প্রথমবারের জন্য ইলেকট্রিক ট্রেন লাভ করে। এছাড়াও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের অন্তর্গত বিহারে ২৮৫.৮৬৯ কিমি ও পশ্চিমবঙ্গে ৭৪৪.৭২৬ কিমি বৈদ্যুতিকীকরণ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিরল মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে উপচে পড়ল ভিড়, মেঘ কাটতেই চন্দ্রদর্শন
বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ আরও দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার জন্য ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (ইরকন), রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস (রাইট্স), উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে/কনস্ট্রাকশন এবং সেন্ট্রাল অর্গানাইজেশন ফর রেলওয়ে ইলেকট্রিফিকেশন (ক’র) উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ পর্যায় ক্রমিকভাবে সম্পাদন করছে।
কয়েকটি মেজর সেকশনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ কোচবিহার-গোলোকগঞ্জ-ধুবড়ি (৭৮ আরকেএম), তিনসুকিয়া ডিভিশনের সিমলুগুড়ি-ডিব্রুগড় (৯৭ আরকেএম), লামডিং ডিভিশনের কাটাখাল-ভৈরবী (৮৪ আরকেএম), কাটিহার ডিভিশনের রানিনগর-জলপাইগুড়ি-হলদিবাড়ি (৩১ আরকেএম) ও রঙিয়া ডিভিশনের হেলেম-হারমতি-নাহরলগুন (৭৯ আরকেএম)।
বৈদ্যুতিকীকরণের ফলে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মধ্যে ট্রেনের গতিশীলতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে রেল নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হবে। অতিরিক্তভাবে ফসিল ফুয়েল থেকে বৈদ্যুতিকে রূপান্তরিত হওয়ায় দূষণ হ্রাস পাবে, রেলওয়ের আর্থিক কর্মদক্ষতারও উন্নতি ঘটবে। এছাড়াও বৈদ্যুতিকীকরণের ফলে ট্রেনগুলির সুগম চলাচলে সুবিধা হবে এবং ট্রেনগুলির গড় গতিও বৃদ্ধি পাবে, যার পরিণামস্বরূপ ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা মেনে চলা সম্ভব হবে।