সভায় মূলত যাত্রীদের প্রতি কর্মীদের আচরণ ও ব্যবহার উন্নত করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শ্রী মীনা স্পষ্টভাবে জানান, সর্বদা ভদ্র ও শ্রদ্ধাশীল ব্যবহার বজায় রাখা জরুরি। যেকোনও রকমের দুর্ব্যবহার বা অমার্জিত আচরণ রেলের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আলোচনায় কর্মীদের শিয়ালদহ বিভাগ তথা ভারতীয় রেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়। ধৈর্য ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করার বাস্তবধর্মী উপায় নিয়ে মতবিনিময় হয়, যাতে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতিটি যোগাযোগ ইতিবাচক ও সৌজন্যমূলক হয়।
advertisement
ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শ্রী রাজীব সাক্সেনা বলেন, যাত্রী-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করাই শিয়ালদহ বিভাগের অগ্রাধিকার। ভারতীয় রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন প্রথমবার ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক চিহ্নিত করতে ব্যবস্থা নিয়েছে। রেলের টিকিট পরীক্ষকদের দেওয়া হয়েছে একটা ব্যাজ। লাল রঙের সেই ব্যাজ দেখলেই বোঝা যাবে আসল না নকল টিকিট পরীক্ষক৷
সম্প্রতি শিয়ালদহ ডিভিশনে গ্রেফতার হয়েছে দু’জন ভুয়ো রেল টিকিট পরীক্ষক। এর আগেও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নানা তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে যাত্রীদের সাবধান ও সুরক্ষিত করতে আসল টিকিট পরীক্ষকদের দেওয়া হচ্ছে এই বিশেষ লাল ব্যাজ।
তবে রেলের টিকিট পরীক্ষক বা রেলরক্ষী বাহিনী যে আচরণ করে, তাতে কী তাদের পক্ষে কে বা কারা আসল বা নকল তা বুঝতে ব্যাজ বা ব্যাজের পেছনে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করার সুবিধা মিলবে? তারা কি সাধারণ যাত্রীদের এই কাজ করতে দেবেন? যশরাম মীনা জানিয়েছেন, অবশ্যই যাত্রী চাইলে তিনি পাল্টা পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে পারবেন। তবে ওই যাত্রীকে অবশ্যই বৈধ টিকিটধারী হতে হবে।বিভিন্ন প্রান্তিক স্টেশন থেকে এই সব ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকদের যাতায়াতের অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় যাত্রীদের সচেতন করতে শিয়ালদহ ডিভিশন মাইকিং, লিফলেট বিলি ও বিভিন্ন স্টেশনে প্রচার চালাবে।