আরপিএফ শুধু যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই নয়, তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের প্রতিও নজর রাখে। যদি তারা কোনও পরিত্যক্ত লাগেজ খুঁজে পায়, তবে সেই লাগেজ টি কোন ব্যাক্তির তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। মালিককে না পাওয়া গেলে, আরপিএফ সেই জিনিসপত্র তাদের হেফাজতে নিয়ে রাখে এবং মালিকের সন্ধান করতে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উদ্ধার করা লাগেজ যথার্থ মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
advertisement
পূর্ব রেলের আরপিএফ “অপারেশন আমানত” অভিযানের অধীনে অক্টোবর ২০২৪ অর্থাৎ গত মাসে মোট ৩৬৫টি লাগেজ উদ্ধার করেছে, যার মোট মূল্য ₹৪৬,৪৩,৩৭৪/-। এর মধ্যে, হাওড়া ডিভিশনে ১৫৪টি, শিয়ালদহ ডিভিশনে ১০৯টি, মালদহ ডিভিশনে ৩৮টি এবং আসানসোল ডিভিশনে ৬৪টি লাগেজ উদ্ধার করা হয়েছে।
সমস্ত উদ্ধারকৃত জিনিসপত্র যথাযথ ডকুমেন্টেশন ও প্রয়োজনীয় যাচাইয়ের পর লাগেজের মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গতকাল, রবিবার ৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখেও, পূর্ব রেলের আরপিএফ হাওড়া, বর্ধমান, শিয়ালদহ, কলকাতা, বনগাঁ, আন্দুল ও আসানসোল স্টেশনে বিভিন্ন ট্রেনে ও রেল চত্বরে আরও ১০টি ব্যাগ উদ্ধার করেছে এবং যথাযথ যাচাই ও ডকুমেন্টেশন সহকারে সেগুলি তাদের প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।
পূর্ব রেলের আরপিএফ-এর এই তৎপরতা যাত্রীদের প্রতি তাদের সহানুভূতির পরিচয় বহন করে, কারণ যাত্রীদের জিনিসপত্র ফিরে পেতে আরপিএফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আরপিএফ-এর এই তৎপরতায় যাত্রীরা সন্তুষ্ট। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, সব সময় চেষ্টা করা হয় যাতে তড়িঘড়ি লাগেজ আসল যাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া যায়।