এই অনুষ্ঠানে মিজোরামের রাজ্যপাল জেনারেল (ড.) (অবসরপ্রাপ্ত) বিজয় কুমার সিং, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী লালদুহোমা, কেন্দ্রীয় রেল, তথ্য ও সম্প্রচার এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব; মিজোরাম সরকারের মন্ত্রী ভানলালথলানা, সাংসদ কে. ভানলালভেনা এবং রিচার্ড ভানলালহমঙ্গাইহা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ভৈরবী-সাইরাং রেল লাইন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করার সময় তিনি বলেন যে আজ সারা দেশের জন্য বিশেষ করে মিজোরামের জনগণের জন্য ঐতিহাসিক দিন, কারণ আইজল কঠিন ভুখণ্ড সহ অনেক প্রত্যাহ্বান অতিক্রম করে ভারতের রেল মানচিত্রের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নতুন রেললাইনটি পরিবর্তনের জীবনরেখা হবে এবং মিজোরামের জনগণরে জীবন ও জীবিকায় বিপ্লব আনবে। সাধারণ জনগণের কাছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার আরও বিকল্প উপলব্ধ থাকবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে “অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি”-তে মিজোরামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কালাদান মাল্টি মডেল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পেরমাধ্যমে, মিজোরাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হবে, যার দ্বারা বাণিজ্য ও পর্যটনকে আরও প্রোৎসাহিত করবে।
advertisement
এই উপলক্ষে, প্রধানমন্ত্রী তিনটি নতুন এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনাও করেন। সাইরাং-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, সাইরাং-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস এবং সাইরাং-কলকাতা এক্সপ্রেস, মিজোরামের জনগণকে দেশের প্রধান শহরগুলির সঙ্গে সরাসরি সুরক্ষিত, দক্ষ এবং সাশ্রয়ী রেল সংযোগ প্রদান করে এবং এর ফলে বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করে।
প্রধানমন্ত্রী পিএম-ডিভাইন-এর অধীনে ৪৫ কিলোমিটার আইজল বাইপাস রোড, এনইএসআইডিএস-এর অধীনে থেনজল-শিয়ালসুক রোড এবং খানকাউন-রঙ্গুরা রোড এবং ছিমতুইপুই নদী সেতু সহ মূল সড়ক প্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। এই প্রকল্পগুলি আইজলের যানজট কম করার পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ মজবুত করবে এবং কালাদান মাল্টিমডাল ট্রানজিট কাঠামোর অধীনে উদ্যানপালন, আদা প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যকে উন্নত করবে।
এ ছাড়াও, টুইকুয়ালে একটি খেলো ইন্ডিয়া মাল্টিপারপাস ইন্ডোর হল এবং মুয়ালখাংয়ে একটি ৩০ টিএমটিপিএ এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। কাওর্থায় একটি আবাসিক বিদ্যালয় এবং ত্লাংনুয়ামে একটি একলব্য মডেল আবাসিক বিদ্যালয় সহ একটি নতুন শিক্ষামূলক সুবিধাও উদ্বোধন করা হয় এবং রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করা হয়।
এই উপলক্ষে তার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ, জীবনযাত্রার সুগমতা এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির উপর সরকারের ধারাবাহিক মনোযোগের উপর জোর দেন। তিনি খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের অধীনে ক্রমবর্ধমান স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম এবং আধুনিক ক্রীড়া পরিকাঠামোর বিকাশের কথা তুলে ধরেন। এই অঞ্চলের প্রতি সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন যে এই প্রকল্পগুলি জাতীয় মূলধারার সাথে তাদের একীকরণকে আরও শক্তিশালী করবে।