তবে ২০২৭ সালের অগাস্ট মাসে উদ্বোধনী রুট হিসেবে সুরাত এবং ভাপির মধ্যে ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন। জানা যাচ্ছে, আহমেদাবাদ-মুম্বইয়ের মধ্যে ৫০৮ কিলোমিটারের করিডরে ট্রেনগুলি মোটামুটি ৩২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে চলবে। আর সেক্ষেত্রে চারটি স্টপেজ থাকবে। গোটা যাত্রাপথ মাত্র ১ ঘণ্টা ৫৮ মিনিটেই শেষ করবে দেশের সর্বোচ্চ গতির এই ট্রেন। তবে যদি ট্রেনটি ১২টি স্টেশনে থামে, সেক্ষেত্রে মোট যাত্রার সময় লাগবে ২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট।
advertisement
সুরাটে সাম্প্রতিক পর্যালোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কাজের গতিতে সন্তুষ্ট হয়েছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, এই প্রকল্পে আমরা যা কিছু করেছি তা অন্য জায়গায়ও প্রয়োগ করা উচিত।
শুধুমাত্র রেলওয়ে এবং অন্যান্য উচ্চগতির প্রকল্প নয়, বরং অন্যান্য ক্ষেত্রেও, প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গের কথা বলেন রেলমন্ত্রী। প্রাথমিক করিডর পরিকল্পনায় ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ না থাকলেও, রেল ভুবনেশ্বর, কটক, পুরীর মতো স্টেশনকেও এই হাই স্পিড রেল ম্য়াপের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে। পরবর্তী সময়ে রেলের এই নেটওয়ার্কে বাংলাও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: শিবপুরে শুটআউট! হাওড়ার অভিজাত আবাসনে চলল গুলি, আশঙ্কাজনক মহিলা, ভর্তি হাসপাতালে
যদি রেলের পরিকল্পনা সফল হয়, তবে দিল্লি থেকে ভুবনেশ্বর যেতে ২৭ থেকে ৩০ ঘণ্টা নয়, বরং ৬ ঘণ্টারও কম সময় লাগবে। দিল্লি থেকে বিশাখাপত্তনম যেতে ৫ ঘণ্টারও কম সময় লাগতে পারে। কলকাতার সঙ্গে বুলেট ট্রেনের নেটওয়ার্ক জুড়ে গেলে, দিল্লি থেকে কলকাতা পৌঁছে যাবে মাত্র ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে। অর্থাৎ, বিমানের প্রায় সমান সময়েই ট্রেনে চেপে শুয়ে-বসে দিল্লি-কলকাতা যাতায়াত করতে পারবেন।
