নয়া রুটে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রেল। যদিও ট্রেন চালানোর জন্য মিলছে না লোকো পাইলট। অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও, সেই প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ করতে পারেনি রেল। যদিও চাহিদার কথা মেনে নিয়ে অবসরপ্রাপ্তদের অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট হিসেবে নিয়োগের জন্য সিদ্ধান্ত নিল রেলওয়ে বোর্ড। অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটদের মেডিক্যাল পরীক্ষায় পাস করা জরুরি। কিন্তু, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে কোন ব্যক্তির পক্ষে এই পরীক্ষায় পাস কঠিন বলে মত বিশেষজ্ঞদের! ফলে নিয়োগ হলেও আদৌ তাঁরা কতটা কাজ করতে পারবেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন! কাজেই, রেলের এই সিদ্ধান্তে আদৌ যাত্রীদের কোনও সুবিধা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
advertisement
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নয়া কর্মী নিয়োগ হলে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হবে রেলের। তা চাইছে না নয়া সরকার। রেলের কোষাগারের হাল খারাপ। তাই অবসরপ্রাপ্তদের নিয়েই চালাতে চাইছেন তাঁরা। অন্যদিকে, বন্ধ করে দেওয়া হল রেলের পাঁচটি ছাপাখানা। হাওড়া, দিল্লি, চেন্নাই, সেকেন্দ্রাবাদ, মুম্বইয়ে চলতে থাকা ছাপাখানা বন্ধ করে দিল রেল। রেলের যুক্তি, ক্ষতিতে চলছিল, তাই বন্ধ করা হল ছাপাখানা। বর্তমানে কম্পিউটারাইজড ও অনলাইন টিকিটিংয়ের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে ছাপাখানার প্রয়োজন নেই বলে জানাচ্ছে রেল মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই নোটিফিকেশন জারি হয়েছে।
ছাপাখানায় নিযুক্ত কর্মীদের রেল সেফটি বিভাগে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত পাঁচ বছরে বারবার রেলসুরক্ষা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে ছাপাখানার কর্মীরা কী কাজ করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সরাসরি রেলে কর্মী নিয়োগ না করে এভাবেই জোড়াতালি দিয়ে খরচ বাঁচাচ্ছে রেল। ফলে কর্ম সংস্থানের সবচেয়ে বড় জায়গাতেই বাধা।