প্রাক্তন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান আর এস ধানয়া জানিয়েছিলেন রাফাল হাতে থাকলে পুলওয়ামা হামলার জবাব আরো বেশি করে দিত ভারত। তবে ভবিষ্যতে অবস্থার অবনতি হলে ভারতকে চিন এবং পাকিস্তানকে একসঙ্গে সামলাতে হতে পারে এমন সম্ভাবনা আছে।
ভারতীয় নৌসেনা এতদিন রাশিয়ান মিগ ২৯ কে যুদ্ধবিমান পরিচালনা করত। কিন্তু সেসব বিমান পুরনো হচ্ছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে পুরো মিগ ২৯ কে বিমান রিটায়ার করানোর ভাবনায় নৌসেনা। সেক্ষেত্রে আগামী এক বছরের মধ্যে ২৬ টি এবং সব মিলিয়ে ৫৫ টির মত নতুন বিমানের প্রয়োজন।
advertisement
শোনা যাচ্ছে এক্ষেত্রে রাফালের মেরিন ভার্সন ( রাফাল এম) এবং আমেরিকার এফ ১৮ ব্লক থ্রি হর্ণেট যুদ্ধবিমানের মধ্যে একটি বেছে নিতে পারে ভারত। সম্ভাবনা বেশি এফ ১৮ এর। কারণ ১৫ ই আগস্ট ভারতের এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার জাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে রাফাল মেরিনের তুলনায় সুপার হর্নেট টেক অফ এবং টেক ডাউন অনেক মসৃণ গতিতে করছে। তাছাড়া এর উইং ভাঁজ করা যায় অনেকটা বেশি। যে কারণে যুদ্ধ জাহাজের এলিভেটারে এফ ১৮ সহজেই তোলা যায় ডেকের ওপর। মিসাইল রেঞ্জে রাফালের থেকে সামান্য কম হলেও অস্ত্র বহন করার ক্ষমতায় এবং তেল বহন করার ক্ষমতায় এগিয়ে আছে মার্কিন যুদ্ধবিমান।
একসঙ্গে ১০ টার বেশি টার্গেট আঘাত আনতে পারে। তাছাড়া আধুনিক ককপিট এবং সেন্সর অনেক উন্নত। ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম বিচার করা হলে রাফালের থেকে এগিয়ে এফ ১৮ সুপার হর্ণেট ব্লক থ্রি। ভালকান কামান থেকে মিনিটে ৬০০০ গুলি চালানো যায়। বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ এবং আমরাম মিসাইলে সুসজ্জিত এই যুদ্ধবিমান।
নির্মাতা সংস্থা বোয়িং ইতিমধ্যেই গোয়ায় এই বিমানের পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা দেখিয়েছে ভারতীয় নৌসেনাকে। মনে করা হচ্ছে সিঙ্গল এবং ডবল সিট থাকার কারণে ভারতীয় নৌসেনা রাফাল মেরিন নয়, সবুজ সংকেত দেবে মার্কিন এই যুদ্ধবিমানকে। যদি শেষ পর্যন্ত তাই হয় তাহলে ভারত মহাসাগর এবং দক্ষিণ চিন সাগরে ড্রাগনের দাদাগিরি শেষ হওয়া সময়ের অপেক্ষা।