লাভপ্রীতের স্বামী পরিবারকে স্ত্রীর আটক হওয়ার কথা জানান এবং পরে এটাও নিশ্চিত করেন যে লাভপ্রীতকে নির্বাসিত করা হচ্ছে, তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁর ভ্রমণের জন্য বেশিরভাগ অর্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাঁর স্বামীর দ্বারাই জোগাড় করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁদের পরিবার কৃষিজমি বন্ধক দিয়ে ঋণও নিয়েছিল। লাভপ্রীত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, “এজেন্ট আমাদের পরিবারকে বলেছিল যে, তারা আমাদের সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাবে। কিন্তু আমরা যা সহ্য করেছি তা আমাদের কল্পনারও বাইরে ছিল।”
advertisement
একরকম বাধ্য হয়েই তিনি ‘ডানকি’ রুটটি বেছে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তাঁকে কলম্বিয়ার মেডেলিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং এল সালভাদরের সান সালভাদরে নিয়ে যাওয়ার আগে প্রায় দুই সপ্তাহ সেখানে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে, তিনি গুয়াতেমালায় তিন ঘন্টারও বেশি পথ হেঁটে যেতে বাধ্য হন, তার পরে ট্যাক্সিতে করে মেক্সিকান সীমান্তে যান এবং অবশেষে ২৭ জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান।
লাভপ্রীত জানান যে, “আমরা যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসি, আমাদের সিম কার্ড, এমনকি কানের দুল ও চুড়ির মতো ছোট অলঙ্কারও জমা দিয়ে দিতে বলা হয়। আমি ইতিমধ্যেই আগের দেশে আমার লাগেজ হারিয়ে ফেলেছিলাম, তাই তাদের কাছে জমা করার মতো আমার আর কিছুই ছিল না। আমাদের পাঁচ দিন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল এবং ২ ফেব্রুয়ারি আমাদের কোমর থেকে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। শুধু বাচ্চারা রেহাই পেয়েছে।”
ভারত পৌঁছনোও এ হেন পরিস্থিতিতে হয়ে উঠেছিল অবিশ্বাস্য! তিনি আরও জানান যে, “কেউ আমাদের বলেনি যে আমাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যখন আমরা অবশেষে ভারতে পৌঁছলাম, তখন সেও যেন এক ধাক্কা ছিল। অমৃতসর বিমানবন্দরে আমাদের বলা হয়েছিল যে, আমরা ভারতে পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু, মনে হচ্ছিল যেন আমাদের স্বপ্নগুলো এক মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে গেল।”