কোভিড-এর অ্যাক্টিভ কেস কমার কারণে অনেকের মধ্যে টিকার চাহিদা কমেছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্র এবং রাজ্যের সরকারের কাছে এখনও ১.৮ কোটিরও বেশি ডোজ উপলব্ধ রয়েছে। যা কিনা প্রায় ছমাস টিকাদান কর্মসূচি টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট। সরকারের সরবরাহ শেষ হয়ে গেলেও বাজারে এখনও কোভিড ভ্যাকসিনেশনের অ্যাক্সেস থাকবে।
আরও পড়ুন- চলে গেলেন ORS-এর জনক, বিখ্যাত এই চিকিৎসকের সম্পর্কে জানলে বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করবেন!
advertisement
ছমাস পর আবার কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য নতুন বাজেট বরাদ্দ করা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত সেই সময়ে দেশে করোনভাইরাস পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
p style="text-align: justify;">ভারত সরকার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে রাজ্যব্যপী টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিনামূল্যে COVID-19 টিকা দেওয়া শুরু করেছিল। এই কর্মসূচি ১৬ জানুয়ারি ২০২১ থেকে শুরু হয়েছিল।
যেহেতু এখন কোভিডের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে, তাই টিকা দেওয়ার জন্য খুব বেশি চাহিদা নেই। যদিও সরকার ৭৫ দিনের একটি প্রচারাভিযান "কোভিড ভ্যাকসিনেশন অমৃত মহোৎসব" চালায়। তাতে বিনা খরচে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার শট প্রদান করা হয়।
রবিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে প্রদত্ত কোভিড টিকা ডোজের মোট সংখ্যা ২১৯.৩২ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে।সরকারী সূত্র অনুসারে, ভারতে ৯২% প্রাপ্তবয়স্করা COVID-19 টিকার কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছেন। ৯৮% দুটি ডোজ পেয়েছেন।
১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৮৩.৭% কিশোর-কিশোরীরা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে। ৭২% প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ দুটিই পেয়েছে। ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে ৮৭.৩% প্রথম ডোজ পেয়েছে। ৬৮.১% দুটি ডোজ পেয়েছে।
গত বছরের ১৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া দেশব্যাপী টিকাদান অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়ের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা টিকা গ্রহণ করেন। ফ্রন্ট-লাইন কর্মীরা গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা গ্রহণ করা শুরু করেন। যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যাদের বয়স ৪৫ বছর বা তার বেশি তাঁদের জন্য কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছিল গত বছরের ১ মার্চ থেকে।
