শেহবাজ শরিফের পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বারংবার করা দাবি করেছে তিনিই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধ করেছেন। এদিন রাষ্ট্রপুঞ্জেক মঞ্চে সৈই দাবিকেও ফের নসাত্ করল ভারত। ট্রাম্পের নাম না করেই পেটাল বলেন, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তান অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, দু’পক্ষের অমীমাংসিত বিষয়ের সমাধান তারা নিজেরাই করবে। এ ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের প্রবেশাধিকারের কোনও সুযোগই নেই। এটা আমাদের বহু দিনের অবস্থান’’।
advertisement
শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জে ভাষণের সময় শাহবাজ শরিফ দাবি করেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় ভারতের সঙ্গে চার দিনের সংঘাতে সাফল্য অর্জন করেছে পাকিস্তান। কাশ্মীর সমস্যা নিয়েও ভারতকে আক্রমনের চেষ্টা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘‘কাশ্মীরের জনগণকে আমি এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা তাঁদের পাশে আছি। পাকিস্তান তাঁদের পাশে আছে। কাশ্মীরে ভারতের অত্যাচার এক দিন বন্ধ হবেই।’’
পাক প্রধানমন্ত্রীর একাধিক দাবিই যে ‘অযৌক্তিক’ তা উল্লেখ্য করে গহলট বলেন, ‘‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থেকে অযৌক্তিক নাটক করেছেন। যে দেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তিই সন্ত্রাসবাদ, তারাই আবার সন্ত্রাস নিয়ে বড়াই করে। তবে কোনও নাটকই সত্যকে লুকোতে পারে না।’’
পাকিস্তানকে “সন্ত্রাসবাদ মোতায়েন এবং রপ্তানির ঐতিহ্যে দীর্ঘকাল ধরে নিমজ্জিত একটি দেশ” হিসাবে উল্লেখ করে পটেল। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশীদার হওয়ার ভান করছে যে দেশ (পাকিস্তান), একসময় সেই দেশই ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল।’’
আমরা যুদ্ধ জিতেছি এবং এখন আমরা আমাদের বিশ্বের অংশে শান্তি জিততে চাই” মন্তব্যের জবাবে, তিনি বলেন, ১০ মে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী “আমাদের সরাসরি যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করেছিল”। ভারত-পাক যুদ্ধের তৃতীয় পক্ষের কোনও জায়গা নেই, ছিল না, এদিন ফের রাষ্ট্রপুঞ্জে জানিয়ে দিল ভারত।
শেহবাজের ‘যুদ্ধ জেতার’ মন্তব্যকে খোঁচা দিয়ে ভারতীয় কূটনীতিবিদ বলেন, ‘‘যদি ধ্বংসপ্রাপ্ত রানওয়ে এবং পোড়া হ্যাঙ্গারগুলি জয়ের মতো লাগে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর যেমন দাবি করেছেন পাকিস্তান জয়ের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, ভারত স্বাগত জানাচ্ছে।’’
শুক্রবার ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত ফের স্পষ্ট করল, ‘পারমাণবিক হুমকির’ আড়ালে সন্ত্রাসবাদ ভারত সহ্য করবে না। ‘‘পাকিস্তানকে অবিলম্বে সমস্ত সন্ত্রাসী শিবির বন্ধ করতে হবে এবং ভারতে চাওয়া সন্ত্রাসীদের আমাদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।” ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করতে গেলে পাকিস্তানের একটাই পথ, জানিয়ে দিলেন ভারতীয় কূটনীতিবিদ।