প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই বিশ্বপ্রদক্ষিণ অভিযাত্রাকে নারীশক্তি, তিন বাহিনীর ঐক্য, আত্মনির্ভর ভারত এবং সামরিক কূটনীতির প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘এটি শুধু সমুদ্রযাত্রা নয়, এটি এক ধরণের ইচ্ছাশক্তির পরিচয়। তিনি আশাবাদী যে ভারতীয় মহিলা অফিসাররা তাঁদের সাহস ও অধ্যবসায় দিয়ে বিশ্বকে দেখাবেন, ভারতীয় নারীর সামর্থ্যের কোনও সীমা নেই।’’
advertisement
অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল অনুজা বরুডকর। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন স্কোয়াড্রন লিডার শ্রদ্ধা পি রাজু, মেজর করমজিত কৌর, মেজর অমিতা দালভি, ক্যাপ্টেন প্রজক্তা নিকম, ক্যাপ্টেন দৌলি বুটোলা, লেফটেন্যান্ট কম্যান্ডার প্রিয়াঙ্কা গুসাইন, উইং কম্যান্ডার Vibha Singh, স্কোয়াড্রন লিডার অরভি জয়দেব ও বৈশালী ভান্ডারি। তিন বছরের কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা এই অভিযানে নেমেছেন। এর আগে মুম্বই-সেশেলস-মুম্বই আন্তর্জাতিক ভ্রমণের মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছেন।
এই ভ্রমণে চারটি আন্তর্জাতিক বন্দর ভ্রমণ করা হবে—অস্ট্রেলিয়ার ফ্রিম্যান্টল, নিউজিল্যান্ডের লিটেলটন, কানাডার পোর্ট স্ট্যানলি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন। প্রতিটি বন্দরেই ভারতীয় সংস্কৃতি ও সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি তুলে ধরা হবে। শুধু সমুদ্রযাত্রা নয়, অভিযাত্রীরা গবেষণামূলক কাজেও অংশ নেবেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশানোগ্রাফির সহযোগিতায় তাঁরা সমুদ্রের মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ, সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন।
আরও পড়ুন: নাগরিক হওয়ার আগেই ভোটার হওয়ার অভিযোগ, সনিয়া গান্ধির বিরুদ্ধে FIR দায়ের করার আবেদন
ভারতের ইতিহাসে এর আগে ক্যাপ্টেন দিলীপ দোন্দে এবং কমান্ডার অভিলাষ টমি একক বিশ্বপ্রদক্ষিণে সাফল্য অর্জন করেছিলেন। এছাড়া নৌবাহিনীর মহিলারা ‘নাভিকা সাগর পরিক্রমা’ অভিযানে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন। এবারে ‘সমুদ্র প্রদক্ষিণ’ সেই ধারায় নতুন এক সোনালি অধ্যায় যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।