বৃহস্পতিবার লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে দিল্লি নিবাসী গীতাঞ্জলি জানান তিনি একেবারে অভিভূত৷ "bolt from the blue"- বোল্ট ফ্রম দ্য ব্লু নামের বইয়ের জন্য এই পুরস্কার সম্মান গ্রহণ করেছেন৷ তিনি তাঁর বইয়ের অনুবাদক ডেইজি রকওয়েলের সঙ্গে এই সম্মান ভাগ করে নিলেন৷ তিনি আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের জন্য ৫০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড পুরস্কার হিসেবে পেলেন৷
advertisement
‘‘Tomb of Sand’’- টম্ব অফ স্যান্ড আসলে ‘রেত সমাধি’- -র ওপর আধারিতষ যেখানে ৮০ বছরের মহিলার জীবনের কথা বলা হয়েছে৷ বুকার পুরস্কারের বিচারকরা বইটিকে একাধিক বিশেষণে ভরিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন৷ কেউ বলেছেন এটা আনন্দের উচ্ছ্বাস এবং পড়তে শুরু করলে থামা যায় না এমন উপন্যাস৷
‘আমি কখনও বুকারের কথা ভাবিনি, আমি ভাবিনি কখনও পারব৷ কি বিশাল স্বীকৃতি৷ আমি অভিভূত, খুশি, সম্মানিত’’ - এমনটাই বলেছেন শ্রী নিজের সম্মান গ্রহণের বক্তৃতায়৷
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এটাতে একটা মনখারাপ কর স্বস্তি রয়েছে এই পুরস্কার গ্রহণে৷ রেত সমাধি বা টম্ব অফ স্যান্ড এমন একটা পৃথিবীর গল্প যেখানে আমরা বাস করি৷ চিরজীবনের দুঃখ কষ্টের মধ্যেও আশা বেঁচে থাকে৷ বুকারের জন্য এই বই আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে৷ নইলে অন্যভাবে বইটা পৌঁছত, এই বইয়ে কোনও ক্ষতি নেই৷ ’’
আরও পড়ুন - মওকা, মওকা, উমরানের সোনালি সুযোগে উচ্ছ্বাসের জোয়ার, দেখে নিন আনন্দে ভাসার ফটো
৬৪ বছরের সাহিত্যিকের এই কাজ ভারতীয় ভাষায় লেখা সাহিত্যের জন্য প্রথম এত বড় স্তরে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে যে সব ঠিকঠাকভাবেই এগোচ্ছে৷
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার এই বইয়ের নেপথ্যে হিন্দি সাহিত্যের যে সুগভীর , উঁচু সংস্কৃতি রয়েছে তা প্রমাণ হল৷ পাশাপশি দক্ষিণ এশিয়ার আরও ভাষাতেও এই সম্ভার রয়েছে৷ বিশ্ব সাহিত্য আরও সমৃদ্ধ হবে এই সব ভাষার এই কাজগুলি জানতে পারলে৷ এতে জীবনের শব্দকোষ আরও সমৃদ্ধ হয়৷ ’’
তিনটি উপন্যাস , অসংখ্য গল্পের বইয়ের রচয়িতা মণিপুরে জন্মগ্রণ করেছিলেন গীতঞ্জলি শ্রী তাঁর বই ইংরাজিতে, ফরাসিতে, জার্মান, সাইবেরিয়ান, কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে৷
তাঁর লেখা হিন্দি উপন্যাসটি ২০১৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়৷ টম্ব অফ স্যান্ড তাঁর ইংল্যান্ডে প্রকাশিত প্রথম ইংরাজি বই৷ সেটি অ্যাক্সিস প্রেসে ২০২১ সালে অগাস্টে প্রকাশিত হয়৷