ভারতের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় প্রস্তুতি কতটা খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। সৈন্যরা সঠিক পরিকাঠামো পাচ্ছে কিনা এবং সরঞ্জাম উপস্থিত কিনা জানতে চেয়েছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ চিন যে লাদাখ এবং সিকিম সীমান্তে শান্তি চায় না এবং নিজেদের দাবি থেকে এক চুল সরবে না সেটা স্পষ্ট। পাল্টা প্রস্তুতি অনেকদিন ধরেই নিয়ে রেখেছিল ভারত।
advertisement
শুধু অপেক্ষা ছিল ওপর মহলের সবুজ সংকেতের। এবার পাওয়া গিয়েছে সেই সিগনাল। এএনআই সূত্রের খবর, ভারতীয় বিমান বাহিনী আগামী ১ সপ্তাহ ধরে পুরো উত্তর-পূর্ব ভারতে চিন সীমান্তের সব এলাকা জুড়ে বিশেষ মহড়া চালাবে। এর নাম দেওয়া হয়েছে এক্সারসাইজ প্রলয়। প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলবে মহড়া।
রাফাল, সুখোই, জাগুয়ার, মিগ ২৯ কে, তেজস যুদ্ধবিমান ছাড়াও রাখা হবে রাশিয়া থেকে কেনা এস ৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমকে। শত্রু শিবিরের হালচাল ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকেই ধরে নিতে সক্ষম এই আধুনিক ডিফেন্স সিস্টেম। এছাড়া অত্যাধুনিক কিছু ড্রোন ব্যবহার করবে ভারত ওই এলাকায়।
চিনের পশ্চিম থিয়েটার কমান্ড ভারতের সীমান্তের সঙ্গে প্রায় ৩০ হাজার সৈন্য মজুত রেখেছে। তৈরি করা হয়েছে হাসপাতাল এবং বিমান অবতরণ করার হ্যাঙ্গার। ছবিটা আগে থেকেই ভারতের কাছে স্পষ্ট। গত এক সপ্তাহ ধরে চিনের পুরনো শত্রু জাপানের সঙ্গে বিমান মহড়া শুরু করেছে ভারত।
সেখানে দু'দেশের ফাইটার পাইলটরা একে অপরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছে। ড্রাগনকে ভারত স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে সৈন্য সংখ্যা এবং অস্ত্র সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও কোনও ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ করলে লজ্জার মুখে পড়তে হবে বেজিংকে। এটা ১৯৬২ নয়। সেটা ভাল করে জানে চিন নিজেও।