এবার চিনের পুরনো শত্রু ভিয়েতনামকে নিজেদের দিকে টানতে সক্ষম হয়েছে ভারত। সোমবার প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বৈঠকের মাধ্যমে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নুয়ান ফুকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন। প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে পরমাণু শক্তি, ওষুধ শিল্প থেকে শুরু করে খবর আদান প্রদান, মোট সাতটি বিষয় চুক্তি সই হয়েছে দুই দেশের ভেতর। প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখাই দুই দেশের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
advertisement
এছাড়াও দুই দেশ মিলে ভবিষ্যতের পথনির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। যাতে দক্ষিণ চিন সাগর থেকে শুরু করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দুই দেশের নৌবাহিনীর মহড়া চালানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। চিন এতদিন এই অঞ্চলে ভিয়েতনাম,কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডের মত দেশকে চাপে রাখত নিজেদের বিশাল নৌবাহিনীর ভয় দেখিয়ে। ভারত আসরে নামায় এবার পাল্টা চাপ তৈরি হল ড্রাগনের ওপর। এই অঞ্চল থেকে চিন কোনও প্রাকৃতিক সম্ভার অন্য কোন দেশকে নিতে দিত না। কিন্তু ভারত জানিয়ে দিয়েছে ভিয়েতনামের সঙ্গে মিলে এই অঞ্চল থেকে তেল উত্তোলনের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ভাবছে।
চিন বরাবর দাবি করে এসেছে দক্ষিণ চিন সাগরে একমাত্র তাঁদেরই অধিকার আছে। কিন্তু এই নতুন চুক্তির পর চিন কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই দেখার। ভারতের দিক থেকে হিসেবটা পরিষ্কার। শত্রু র শত্রু, আমার বন্ধু। এই ফর্মুলা মেনে চলছে ভারত। চিনের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় শত্রু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হলেও, এশিয়ার মাটিতে পূর্বে চিনকে পাল্টা জবাব দিয়েছে যে দুটি দেশ, সেই জাপান এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করা। একচল্লি শ বছর আগে ভিয়েতনামের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল চিন। ছোট্ট ভিয়েতনাম ড্রাগনের গর্ব খর্ব করেছিল। আর জাপান তো চিনের ঐতিহাসিক শত্রু। চিনের দুর্বল জায়গা গুলো যে ভারতের অজানা নয় সেই বার্তা স্পষ্ট করে দিতে চায় নয়াদিল্লি।