দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী সদর্থক আলোচনা চাইছেন। কিন্তু, তবু ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক শুধরনোর প্রক্রিয়ায় সন্ত্রাসের কাঁটা। এবছর প্যারিসের জলবায়ু সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি ও নওয়াজ শরিফের কথা হয়। তার পর ব্যাঙ্ককে দু’দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠকে সম্পর্কের শীতলতা অনেকটাই দূর হয়। বড়দিনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর লাহোর দৌত্যে সেই সম্পর্কে আসে উষ্ণতা । রুশ ও আফগান সফর থেকে ফেরার পথে তিনি হঠাৎই পাকিস্তানে নেমে পড়েন। শরিফকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান তিনি। কিন্তু তার এক সপ্তাহ না কাটতেই ফের ভারতে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের বারুদের গন্ধ। এই হামলার পিছনে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। সূত্রের খবর, রাওয়ালপিণ্ডিতে এই হামলার ছক কষা হয়। তিন পাক জঙ্গিকে ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি আর্থিক মদতও জোগায় পাকিস্তান বলে অভিযোগ।
advertisement
আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সন্ত্রাসের প্রভাব পড়তে চলেছে দু’দেশের সচিব পর্যায়ের আসন্ন বৈঠকে। ইসলামাবাদে ১৫ জানুয়ারি বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারত-পাক বিদেশ সচিবরা । পাঠানকোট হামলায় পাক জঙ্গিদের যোগ সংক্রান্ত তথ্য এই বৈঠকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেবে ভারত। এর পর দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের মোদি ও শরিফের আরেক প্রস্থ বৈঠকের সম্ভাবনা। পাঠানকোটের জের থাকবে সেখানেও। রবিবার বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব ও পাকিস্তানের প্রাক্তন দূতদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানেও পাঠানকোট-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিদেশনীতির বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের গণতন্ত্র এখনও ততটা পরিণত ও শক্তিশালী না হওয়ায় সম্পর্কের উন্নতিতে এমন বাধা আসবেই। প্রতিবেশী দেশে সামরিক বাহিনী এখনও নির্বাচিত সরকারের উপর ছড়ি ঘোরায়। তাই পাক সরকার চাইলেও সেনার একাংশ ও আইএসআই সুসম্পর্কের উদ্যোগে বাধা তৈরি করবে। তাদের এজেন্ট হিসেবে শান্তি প্রক্রিয়া ভেস্তে দেওয়ার কাজ করবে জঙ্গিরা।