বুধবার ভোরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুরের’ পরেই পাকিস্তান সেনা সীমান্তে শুরু করেছে ভারী গোলবর্ষণ৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় জঙ্গি শিবিরগুলিতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। এরপর থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ১৫ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে৷ ৪৩ জন আহত হয়েছেন৷ সংবাদসংস্থা ANI সূত্রে এমনই খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুরের’ পরই পট পরিবর্তন! ভারত নাকি পাকিস্তান, কার দিকে বাংলাদেশ? বিজ্ঞপ্তিতে যা বলল ঢাকা…
জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের জবাব দিতে পাকিস্তান গোলাগুলি-শেল ছুড়তে শুরু করে। পুঞ্চ ও তাংধর এলাকায় চলে বেপরোয়া বোমা বর্ষণ। তাতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। পুঞ্চ এবং রাজৌরিতে নিয়ন্ত্রণ রেখা(LOC) বরাবর সামনের গ্রামগুলিতে ভারী মর্টার শেল নিক্ষেপ করে চলেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। গোলাগুলিতে দুই সিআরপিএফ জওয়ানও আহত হয়েছেন। দুজনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন অফিসাররা। একজন সেনা অফিসার বলেছেন, “একটি শেল একটি বাস স্ট্যান্ডে আছড়ে পড়ে, বাসটি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
এক সেনা অফিসার জানিয়েছেন, পুঞ্চের কৃষ্ণা ঘাটি, শাহপুর এবং মানকোট, রাজৌরি জেলার লাম, মাঞ্জাকোট এবং গম্বীর ব্রাহ্মণ লক্ষ্য করে গোলাগুলি চালানো হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীও পাকিস্তানের দিকে পাল্টা আক্রমণ করে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে বিএসএফ-কে চরম সতর্কতায় রাখা হয়েছিল।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়, পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলোর ছবি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সেনার ওয়্যার কন্ট্রোলরুমে চলে আসে। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কোথায় চলছে, তা বোঝা অত্যন্ত সহজ হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় সেনার কাছে। বেছে বেছে সেই সব ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালানো হয়। তারপর থেকে শেলিং জারি রেখেছে পাকিস্তান। পাল্টা দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও।