X সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন যে এই পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ কভার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং তা বিভিন্ন উন্নত ফিচারে সজ্জিত।
“ভারত রেল-ভিত্তিক মোবাইল লঞ্চার সিস্টেম থেকে ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ অগ্নি-প্রাইম মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করেছে। এই পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ কভার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন উন্নত ফিচারে সজ্জিত,” সিং তাঁর X সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই কথা লিখেছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে সুখবর! পুরনো চাকরিতে ফিরলেন হাজার হাজার চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকরা
বিশেষভাবে ডিজাইন করা রেল-ভিত্তিক মোবাইল লঞ্চার থেকে পরিচালিত এই ধরনের উৎক্ষেপণ দেশ এই প্রথম দেখল, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে এটি কোনও পূর্বশর্ত ছাড়াই রেল নেটওয়ার্কে চলাচল করতে পারে, যা ব্যবহারকারীকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে উৎক্ষেপণ এবং কম দৃশ্যমানতার মধ্যেও স্বল্প সময়ে উৎক্ষেপণের সুযোগ দেয়।
সিং ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার জন্য @DRDO_India, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (SFC) এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, উল্লেখ করেছেন যে এই পরীক্ষা ভারতকে রেল-মোবাইল সিস্টেম থেকে ক্যানিস্টারাইজড ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম নির্বাচিত দেশগুলির মধ্যে স্থান দিয়েছে।
অগ্নি-প্রাইম ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার এবং গতিশীলতা বৃদ্ধির চলমান প্রচেষ্টার অংশ।
এই জায়গায় এসে অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রটির সংক্ষেপে হলেও পরিচয় দেওয়া দরকার। ক্ষেপণাস্ত্র সাধারণত আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপ হওয়াই এত দিন পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, জল থেকে আকাশে নিক্ষেপের যোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও আছে। কিন্তু অগ্নি-প্রাইম সবার চেয়েই আলাদা।
অগ্নি-প্রাইম একটি অত্যাধুনিক, পরবর্তী প্রজন্মের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যা ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পরিসরে আঘাত হানতে সক্ষম। এর ক্যানিস্টার-লঞ্চ ক্ষমতা, যা অগ্নি-৫-এরও একটি বৈশিষ্ট্য, দ্রুত স্থাপন এবং সংরক্ষণের সুবিধা প্রদান করে।
চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ওড়িশার চাঁদিপুরে ক্ষেপণাস্ত্রটির আগের সফল উৎক্ষেপণের পর এই পরীক্ষাটি করা হয়েছিল।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে ভারতের সফল ‘মিশন দিব্যাস্ত্র’ পরীক্ষার মাত্র কয়েকদিন পরেই এই খবরটি আসে, যেখানে অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের MIRV ক্ষমতা প্রদর্শন করা হয়েছিল। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত SFC-তে এখন পর্যন্ত কেবল একক-ওয়ারহেড ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, তবে একটি MIRV-সক্ষম সিস্টেম একাধিক পারমাণবিক ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত হতে পারে, প্রতিটির লক্ষ্যবস্তু অবস্থানও হবে আলাদা।