মঙ্গলবার সকালে গালওয়ান ঘাঁটির পয়েন্ট ১৪-এ ভারত ও চিন সেনার মধ্যে সংঘর্ষের খবর আসে ৷ প্রাথমিকভাবে ১৫ তারিখ অর্থাৎ সোমবার রাতে হওয়া এই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ১ কর্নেল সহ তিন জওয়ানের নিহত হওয়ার খবর আসে ৷ তখনই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভিন্ন সূত্রকে উদ্ধৃত করে আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করে ৷ রাত গড়াতেই সেই আশঙ্কাই সত্যি হল ৷ সংবাদসংস্থা এএনআই ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানের নিহত বলে দাবি করে ৷ পরে সেনা সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত ১৭ জওয়ানের মাইনাসের নীচে তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় ঠান্ডায় মৃত্যু হয়েছে ৷
advertisement
গালওয়ান উপত্যকায় যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে ৷ দু’দেশের মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে যে সমঝোতা হয়েছিল তা মেনে চলা হলে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়ানো যেত ৷এখনও পর্যন্ত ভারতের যাবতীয় কার্কলাপ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও প্ররোচনা ছাড়াই শান্তিব্যবস্থা ভেঙে হামলা হয়েছে বেজিংয়ের তরফে ৷
গালওয়ান এবং শিয়ক নদীর যেখানে মিলেছে, সেখানেই রয়েছে এই ১৪ নম্বর পয়েন্ট৷ এই জায়গাতেই গত সপ্তাহে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে ডিভিশন কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল৷ সেই বৈঠকেই ঠিক হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দু' পক্ষই সেনার সংখ্যা কমাবে৷
সীমান্তে ভারত পরিকাঠামো তৈরি করেছে। তাতেই চিনের রাগ। মে মাসের শুরু থেকেই কাশ্মীরের লাদাখে, প্রকৃত নিয়য়ন্ত্রণরেখার কাছে উত্তেজনা। ভারত-চিন সংঘাতের আবহ। মাঝে কিছুটা বরফ গললেও সোমবার একেবারে সংঘর্ষ। রক্তাক্ত পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা। উত্তেজনা কমাতে দু’দেশের উচ্চপদস্থ সেনাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তখনই চিনের হামলা৷ পূর্ব লাদাখের এই সংঘর্ষে পারদ চড়ে দিল্লিতে। দফায় দফায় জরুরিভিত্তিতে বৈঠক। তিন সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্র এবং বিদেশমন্ত্রী। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে গিয়ে রিপোর্ট দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেন। লাদাখে সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকে আইটিবিপিও। আইটিবিপির ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।