সরকারিভাবে অরুণাচলের এই জায়গাগুলির নামকরণ করেছে বেজিং। যে ১৫টি জায়গার নতুন নামকরণ করেছে চিনা সরকার, তারমধ্যে বাসযোগ্য এলাকা ৮টি, বাকি ৭টির মধ্যে রয়েছে পাহাড়, জঙ্গল, নদী ও গিরিপথ। চিনের তরফে এই ১৫টি জায়গাকে নিজেদের ভুখণ্ড বলে দাবি করা হয়েছে। সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমে তা প্রচারও করা হয়েছে। সরকারি নথিতে ১৫টি জায়গার চিনা নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
advertisement
যদিও বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, "এই প্রথম অরুণাচলের কোনও জায়গার নাম বদল করেনি চিন। ২০১৭ সালেও এই ধরণের পদক্ষেপ করে চিন।" তিনি আরও বলেছেন, "অরুণাচল সবসময়েই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবে। নতুন নাম দিয়ে এই সত্যকে পরিবর্তন করা যাবে না।" অরুণাচলকে চিনের ম্যাপে "জ্যাংনান" অথবা "দক্ষিণ তিব্বত" বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে সেখানকার ৬টি জায়গার নামকরণ করে বেজিং।
চিনের এই পদক্ষেপের পরেই মোদি সরকারকে তুলোধনা করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইটারে লেখেন, "অরুণাচল প্রদেশের ১৫টি জায়গার নাম বদলে দিয়েছে চিন। সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে আমাদের ভুখণ্ডে দুটি গ্রাম তৈরি করেছে চিন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং তাঁর বেজিং জনতা পার্টির নেতারা চিনের নাম পর্যন্ত করতে অস্বস্তিতে ভোগেন। ওদের তরফে চিনের আমাদের ভুমি দখলের বিষয়টি থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।"
RAJIB CHAKRABORTY