প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ আগে ভারতকে সবাই ঘুমন্ত হাতি বলত ৷ এখন সেই ঘুমন্ত হাতিই দৌড়চ্ছে ৷ প্রচুর বিনিয়োগ আসছে দেশে ৷ হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে ৷ ডিজিটাল ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছি ৷ দেশে অনেক কর্মসংস্থানও বেড়েছে ৷ ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন বিশ্বাস জেগেছে ৷ নতুন ভারতের জন্য নতুন দিশা ৷ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর দেশ ৷ অর্থনীতিতে অনেক এগিয়েছে দেশ ৷ ২০১৩-র গতিতে চললে দেশের উন্নতি হতে আরও ১০০ বছর লাগত ৷ গত চার বছরে অনেক বদলেছে দেশ ৷ দেশে উন্নতির জোয়ার এসেছে ৷ রেকর্ড পরিমাণ ফসল উৎপাদন হয়েছে ৷ প্রযুক্তির দিক থেকেও অনেক এগিয়েছে দেশ ৷ নতুন গতিতে এগোচ্ছে ভারত ৷’’
advertisement
প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘ত্রিপুরা, মেঘালয় এখন হিংসামুক্ত ৷ অটল বিহারী বাজপেয়ীই আমাদের পথপ্রদর্শক ৷ গুলি-গালাজ নয়, আলিঙ্গনে বিশ্বাস করি ৷ বাদল অধিবেশনে তিন তালাক বিল চেয়েছিলাম ৷ এখনও কয়েকজন এই বিলের বিরুদ্ধে রয়েছেন ৷ আমরা এই সমস্যার সমাধান করবই ৷ মুসলিম মহিলাদের পাশে রয়েছি ৷ সেনাবাহিনীতে পুরুষের সমমর্যাদা দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের ৷ বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে তিন জন মহিলা বিচারপতি রয়েছে ৷ ৩ টাকা কেজি দরে গম দিচ্ছে কেন্দ্র ৷ ২ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছে কেন্দ্র ৷ কালো টাকার কারবারিদের রেয়াত নয় ৷ ’’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘দেশ এখন সততার পথে চলছে ৷ সৎ ব্যক্তির করের টাকাতেই চালু সরকারি প্রকল্প ৷ প্রত্যক্ষ করদাতা বেড়ে পৌনে ৭ কোটিতে পৌঁছেছে ৷ আগে দেশে করদাতা ছিলেন ৪ কোটি ৷ ৩ লক্ষ ভুয়ো সংস্থা বন্ধ করা হয়েছে ৷ যাঁরা ভুয়ো নামে গ্যাস, রেশন নিতেন ৷ ৬ কোটি ভুয়ো নাম চিহ্নিত হয়েছে ৷ ৫ বছরে ২ কোটি পরিবার দারিদ্রসীমার নীচে রয়েছে ৷ এর ফলে ১০ কোটি পরিবার উপকৃত হবে ৷ প্রত্যেককে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা চালু হবে ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-র রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে ৷ স্বচ্ছ ভারত অভিযানে বেঁচেছে ৩ লক্ষ শিশু ৷ ’’
দেশের কৃষিকাজের আধুনিকীকরণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘ ২০২২-এ কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে ৷ কৃষিতে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে ৷ কৃষকদের উন্নয়নে আমরাই কাজ করেছি ৷ জাতীয় পতাকা হাতে মহাকাশে যাবেন ভারতবাসী ৷ ২০২২-এর মধ্যে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত ৷ সেই দিল্লি উত্তর-পূর্বের দরজায় এসেছে ৷ আগে মনে হত দিল্লি অনেক দূরে ৷ এখন সেই চিন্তাভাবনা বদলেছে ৷ দেশের প্রেরণা উত্তর-পূর্ব ভারত ৷’’