মহারাষ্ট্রের পুণেতে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ জিকা ভাইরাস (Zika Virus Maharashtra)৷ করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আসন্ন৷ তার মধ্যেই মাথা চারা দিয়েছে ভয়ঙ্কর জিকা ভাইরাস৷ জুলাই মাসেই পুণের বেলসার গ্রামের (Pune Belsar Village Zika Virus)এক মহিলার শরীরে প্রথম মেলে জিকা ভাইরাস৷ ওই মহিলার শরীরে জিকা ভাইরাস ছাড়া বাসা বেঁধেছিল চিকুনগুনিয়া৷ তিনি আপাতত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন৷ তার পরিবারের কোন সদস্যেরও জিকা ভাইরাসের কোনও উপসর্গ নেই৷ সেই কারণেই পুণের এই গ্রামে বাড়তি সতর্কতা নিতে শুরু করেছে প্রশাসন৷
advertisement
বিভিন্ন স্বাস্থ্য সচেতনার শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে এবং জিকা ভাইরাস রোধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে৷ আগামী ৪ মাসের মধ্যে কোনও মহিলা যাতে গর্ভবতী না হন, সেই উপদেশ দেওয়া হচ্ছে৷ এবং সেই কারণেই বিলি করা হচ্ছে কন্ডোম৷ তবে কেন মহিলাদের প্রেগন্যান্ট না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে? বেলসর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ডাঃ ভরত সিনটোলে জানাচ্ছেন যে, মশার (অ্যাডিস ইজিপ্টি) কামড়ে ছড়ায় জিকা ভাইরাস৷ কোনও পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে সহবাস করলে তা তার সঙ্গীর মধ্যে ছড়িয়ে যায়৷ যে কোনও পুরুষের শুক্রাণুর মধ্যে ৪ মাস পর্যন্ত জীবিত থাকে এই জিকা ভাইরাস! ফলে এর মধ্যে তার দ্বারা কোনও মহিলা গর্ভবতী হলে, ভ্রুণও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়৷
জিকা ভাইরাসের উপসর্গ (Zika Virus Symtoms) ডেঙ্গুর মতো৷ জ্বর, গা-হাত-পায়ে ছোট ছোট দানা দেখা যায়৷ সঙ্গে শরীরে ব্যথাও হয়৷ জিকার রোধে কোনও ভাইরাস নেই, নেই কোনও সঠিক চিকিৎসা৷ একমাত্র উপায় সচেতনতা ও সাবধানতা বজায় রাখা৷ যার জেরেই পুণের এই গ্রামে এমনভাবে কন্ডোম বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে৷