এর জন্যই রোজ তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ট্রোল ৷ নোট বদলের প্রথম দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় দু-হাজারি সেলফির ঢল ৷ তবে অধিকাংশ মানুষই আবার খুচরোর আকালের বাজারে অস্বীকার করছে দু’হাজারের গোলাপি প্রেম ৷ বিভিন্ন মস্করার পর এবার শুরু নতুন নোটে অগ্নিপরীক্ষা ৷
২০০০ টাকার নোট চালু হওয়ার পর নয়দিন কেটে গেলেও এই নোট নিয়ে উৎসাহ ও আগ্রহের শেষ নেই ৷ সৌজন্যে এই নোটের বিশেষত্ব ৷ বাজারে আসার আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল, এই নোট নকল হওয়া সম্ভবই নয় ৷ নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোটের ক্ষেত্রে এতটাই সতর্কতা নেওয়া হয়েছে যে পাকিস্তানও নতুন নোটের জাল করতে পারবেন না ৷
advertisement
দু’হাজার টাকার নোট বাজারে আসার পর একজন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জানান, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং বা RAW, ইনটেলিজ়েন্স ব্যুরো এবং ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইনটেলিজেন্স গত ছ’মাস ধরে গোপনে নতুন নোটগুলি পরীক্ষা করেছে ৷ পরীক্ষা করার পর তারা জানিয়েছেন যে এই নোটগুলিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যে ফিতার্স ব্যবহার করা হয়েছে তা নকল করা প্রায় অসম্ভব ৷
আসল ২০০০ হাজার টাকার নোটে ৭টি ব্লিড লাইন থাকবে ৷ টাকার দু’পিঠেই ব্লিড লাইন থাকবে ৷ ২ হাজার টাকার নোটে থাকবে মঙ্গলযানের ছবি ৷ দু’হাজার টাকার নোটের নম্বর বাঁ-দিক থেকে ডানদিকে বড় হবে ৷
শুধু জাল নয় জল থেকেও সুরক্ষিত এই গোলাপি আভাওয়ালা নোট ৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তরফে জানানো হয়, নতুন ২০০০ টাকার নোটটি ওয়াটারপ্রুফ ৷ এমনকী নোটটি জাল কিনা জানতে একটি সহজ মজার পদ্ধতির কথাও বলে আরবিআই-এর আধিকারিকরা ৷ নতুন দুহাজারের নোটে ভেজা তুলো বা ভেজা হাত ঘসলে যদি রং উঠে আসে তাহলে বুঝতে হবে এটি আসল ৷
ব্যস, শুরু নতুন গোলাপি নোটের পরীক্ষা ৷ ওয়াটার প্রুফ কিনা বুঝতে কেউ তাকে বেসিনে চান করাচ্ছেন তো কেউ কোল্ডড্রিঙ্কসে ৷ কেউ নোটের উপর ইস্ত্রি চালাচ্ছেন তো কেউ তাকে দুধে চোবাচ্ছেন ৷
সুরক্ষা পরীক্ষার নামে কী কী সহ্য করতে হচ্ছে এই অচল নোটকে ৷
ওয়াটার প্রুফ নোটের উপর কোল্ডড্রিঙ্ক ফেললে কী হতে পারে এমন প্রশ্ন আপনার মনে উঠলে দেখে নিন ৷
কিংবা যদি গরম দুধে ফোটানো হয় এই গোলাপিকে নোটকে তাহলে কি হবে?
এমনকী এত পরীক্ষাতেও আশ মেটেনি ৷ একজন তো পরীক্ষার নামে আগুনই লাগিয়ে দিলেন দুহাজারের নোটে ৷
আসল না নকল নির্ধারণের পরীক্ষা ছেড়ে রীতিমতো মস্করায় পরিণত হয়েছে ‘২০০০ টাকার অ্যাসিড টেস্ট ৷’ তবে এই মজা-মস্করার মাঝে ভারতীয় টাকার অপমান করা হচ্ছে কিনা সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷