আরও পড়ুন: বোরখা পরে বসকে ডাকাতির ছক, পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই ভেসতে গেল প্ল্যান! বিস্তারিত জানুন
সাইক্লোন দানার কারণে উত্তরপ্রদেশে দিনে এবং রাতে এই কদিন মানুষ হালকা শীত অনুভব করছিল। তাতে আশা করা হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের আগেই হানা দেবে শীত৷ কিন্তু দীপাবলিতে এই রাজ্যের আবহাওয়া পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর দীপাবলি দিন উত্তরপ্রদেশের পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এই সময় তাপমাত্রায়ও কিছুটা বাড়তি থাকবে। বাড়বে অস্বস্তি৷
advertisement
IMD-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, বারাণসী এবং প্রয়াগরাজের পাশাপাশি লখনউ বিভাগের জেলাগুলিতে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, গোরখপুর, মেরঠ এবং অন্যান্য বিভাগের আবহাওয়ায় বিশেষ কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না। ১ নভেম্বরেও উত্তরপ্রদেশের উভয় অংশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। ২ এবং ৩ নভেম্বরেও আবহাওয়া এ রকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচআইভি সংক্রমিত তরুণীর থেকে ২০ যুবকের শরীরে ঢুকল মারণ রোগ! সংক্রমিত ১৫ মহিলাও
৫ নভেম্বরের পর বদলাবে আবহাওয়া – বানারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া বিজ্ঞানী অধ্যাপক মনোজ কুমার শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন যে, উত্তরপ্রদেশে আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে আবহাওয়ায় বিশেষ কোনও পরিবর্তনের আশা নেই। ৫ নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ এবং ন্যূনতম উভয় তাপমাত্রায় হ্রাস ঘটবে এবং শীত বাড়বে।
নয়ডা এবং গাজিয়াবাদের বাতাস বিষাক্ত – দীপাবলির ঠিক আগে উত্তরপ্রদেশের অনেক জেলায় খোলা বাতাসে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এবং গাজিয়াবাদে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-এর স্তর বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁচেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বুধবার নয়ডায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ২৬২ পর্যন্ত ছুঁয়েছে। অন্যদিকে গাজিয়াবাদে AQI স্তর ২৭৭ রেকর্ড হয়েছে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় AQI স্তর ৩০০-এর উপরে পৌঁচেছে।
প্রয়াগরাজ ছিল সবচেয়ে গরম – আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ইউপির প্রয়াগরাজে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। বারাণসীতেও সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এছাড়াও নাজিবাবাদে ১৯.০, মেরঠে ১৯.৪ এবং বেরেলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল৷