আবহাওয়া দফতরের মতে, দিল্লিতে হালকা বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়ার কারণে তাপমাত্রা খুব একটা বাড়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী ছয় থেকে সাত দিন তাপপ্রবাহের কোনও সম্ভাবনা নেই। মৌসম দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫-৩৭ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে আগামী পাঁচদিন। যার সঙ্গে ৩ মে পর্যন্ত প্রতিদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: চা না কফি...? গরমে ভুলেও খাবেন না কোন পানীয়? বিরাট ভুল করছেন না তো? সতর্ক হন!
আইএমডির পূর্বাভাস অনুসারে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবের কারণে, ২৬ এপ্রিল থেকে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে এবং ২৮ এপ্রিল থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারতের সমভূমিতে আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি হয়েছে। আগামী ছয় থেকে সাত দিন আকাশ ও হালকা বৃষ্টি। এপ্রিলের শেষ নাগাদ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমপক্ষে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে।
আগামী পাঁচ দিনে অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটকের অভ্যন্তরীণ অংশ, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কারাইকাল, কেরল এবং মাহেতে বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয়ে ২৮ এপ্রিল থেকে ১ মে এবং ২৯ এপ্রিল নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার মৌসম ভবনের পূর্বাভাস জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনে দেশে তাপপ্রবাহের কোনও সম্ভাবনা নেই।
এদিকে কী হতে চলেছে বাংলার আবহাওয়া? আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি বাড়বে সপ্তাহের শেষে। দক্ষিণবঙ্গে সামান্য বাড়বে তাপমাত্রা। আপাতত তাপপ্রবাহের কোনও সম্ভাবনা নেই।
আগামী দু-দিন দার্জিলিং এবং কালিম্পং-য়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। মালদহ এবং দুই দিনাজপুরেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷হাওড়া, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরেও এদিন ঝড়-বৃষ্টি হয় ৷