TRENDING:

এবার থ্রিডি প্রিন্টেড হাউজ, বদলে যাবে বাড়ি ! সৌজন্য মাদ্রাজ আইআইটির প্রাক্তনীরা

Last Updated:

ভারতবর্ষের নির্মাণ শিল্পের জগতে এই আবিষ্কার এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মাদ্রাজ: ছশো স্কোয়ার ফিটের একতলা বাড়ি। একটা ঘর, রান্নাঘর, খাবার ঘর সঙ্গে বাথরুম৷ ঝকঝকে তকতকে এই বাড়ির সম্পূর্ণটাই বেশ সাজানো-গোছানো। থাকতে চাইলে অনায়াসেই থাকতে পারেন, যে কেউ। শুধু মূল বাড়ির সঙ্গে তফাৎ একটিই। ইঁট-কাঠ-পাথর নয়, গোটা বাড়িটি আদপে তৈরি হয়েছে থার্ড ডাইমেনশনাল প্রিন্টিং এর পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে৷ মাদ্রাজ আই.আই.টির একদল প্রাক্তনী তৈরি করেছেন এমন এক কোম্পানি, যে কোম্পানি এই ছশো স্কোয়ার ফিটের থার্ড ডাইমেনশনাল ঘর তৈরী করতে সক্ষম। বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বেশ হইচই পড়ে গিয়েছে৷ ভারতবর্ষের মত উন্নয়নশীল একটি দেশে, এই থ্রিডি প্রিন্টিং এর মাধ্যমে তৈরি ঘর যে পরিবেশ বাঁচাতে এবং বাসস্থানের সংকুলান করতে বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে তাই মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
3D Printed House
3D Printed House
advertisement

টাভাস্টা (Tvasta) নামের ওই কোম্পানির মতে, থার্ড ডাইমেনশনাল এই বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এক বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। 'কংক্রিট থ্রিডি প্রিন্টিং ( Concrete 3D Printing)' নামের ওই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি যেকোন রকম থার্ড ডাইমেনশনাল কাঠামোর ফাইল কম্পিউটার থেকে নিয়ে তাকে বাস্তবের কাঠামোয় রুপ দিতে সক্ষম হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে কনক্রিট থ্রিডি প্রিন্টিং থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করে থাকে। যে থ্রিডি প্রিন্টার যেকোন থার্ড ডাইমেনশনাল ফাইলকে খুব সহজেই ফ্যাব্রিকেটেড ফাইলে রুপ দিতে পারে।

advertisement

ভারতবর্ষের নির্মাণ শিল্পের জগতে এই আবিষ্কার এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতবর্ষের নির্মাণ শিল্পে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দূষিত আবর্জনা তৈরি হয়ে থাকে। একই সঙ্গে নির্মাণ শিল্পে কর্মরত শ্রমিমরাও প্রায়শই দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে থাকেন। এই নতুন পদ্ধতির মধ্য দিয়ে, নির্মাণশিল্পের এক আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব। নির্মাণশিল্প পরিবেশ বান্ধব করে তোলা সম্ভব এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে। একই সঙ্গে বদল আনা সম্ভব শ্রমিকদের অবস্থার ক্ষেত্রেও৷ বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে অন্যতম বড় সমস্যা হচ্ছে সময়। এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে সময়ের প্রশ্নেও অনেকটা এগিয়ে থাকা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷ চিরাচরিত পদ্ধতির জায়গায়, এই পদ্ধতিতে বাড়ি তৈরি করতে সময়ও লাগবে বেশ কম, এমনটাই বক্তব্য অনেকের। এর সঙ্গে উন্নততর পয়ঃপ্রণালী ও দুর্ঘটনা রক্ষার ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে এই বাড়িগুলিতে। পুরো ব্যাপারটাই চিরাচরিত বাড়ি তৈরির খরচের চেয়ে তিরিশ শতাংশ কম খরচে করে ফেলা সম্ভব।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

Uvasta কোম্পানির সিইও আদিত্যের (Aditya) মতে তাঁরা প্রযুক্তিকে সর্বোতভাবে নির্মাণশিল্পে ব্যবহার করতে চান। প্রযুক্তির সুবিধা যাতে নির্মাণশিল্পের প্রতিটি স্তরে পৌঁছে যায়, সে বিষয়ে তাঁরা নজর রাখবেন। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যাতে কাঁচামাল ব্যবহারের দূষণ কমানো যায় ও পরিবেশ বান্ধব নির্মাণ শিল্প গড়ে তোলা যায়, সে দিকে তারা নজর রাখবেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, ভার্চুয়ালি এই বাড়ির উদ্বোধন করেন। তাঁর মতে এই ধরণের প্রজেক্ট প্রধানমন্ত্রীর ২০২২ সালের মধ্যে ' হাউজিং ফর অলকে ( Housing For All)' বাস্তব রুপ দিতে সক্ষম হবে। তাঁর মতে 'চিরাচরিত বাড়ি তৈরির যে সমস্যা, যেমন কাঁচামাল, সময়, পরিবহন-- তার অনেকটাই এই ধরনের প্রজেক্টের মধ্যে দিয়ে সমাধান করা সম্ভব।'

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
এবার থ্রিডি প্রিন্টেড হাউজ, বদলে যাবে বাড়ি ! সৌজন্য মাদ্রাজ আইআইটির প্রাক্তনীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল