মশা থেকে ছড়ায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো নানা রোগ। বর্তমানে প্রতিরোধের উপায় বলতে লিকুইড, কয়েল, লোশন, ক্রিম, রোল-অন, স্প্রে, প্যাচ—অনেক কিছুই আছে। কিন্তু এগুলির কার্যকারিতা সীমিত। বিশেষত লোশন বা ক্রিমের মতো টপিক্যাল প্রোডাক্ট সময়ের সঙ্গে কার্যক্ষমতা হারায়, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়।
টাকা বাড়বে! Gen z-রা অভ্যাস গড়ে তুলুন শুরু থেকেই, ৮টি জরুরি আর্থিক পরামর্শ মেনে চললেই ধনী হবেন
advertisement
বেড়েই চলেছে দাম! আজ ৫ লক্ষ টাকার সোনা কিনলে ২০৩০ সালে তার দাম কত হবে? বিনিয়োগের আগে জেনে নিন
এই সমস্যারই সমাধান খুঁজতে আইআইটি দিল্লির গবেষক দল তৈরি করেছে মশা প্রতিরোধী ডিটারজেন্ট। অধ্যাপক শেখ জানান, এই ডিটারজেন্টগুলি সাধারণ ডিটারজেন্টের মতোই ভালো ওয়াশ-কেয়ার বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে, তবে বিশেষ উপাদানের কারণে মশা প্রতিরোধে সক্ষম।
এক বাণিজ্যিক ল্যাবরেটরিতে ডিটারজেন্টগুলির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে “হ্যান্ড-ইন-কেজ” পদ্ধতিতে—যেখানে স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের জামাকাপড়-মোড়া হাত ক্ষুধার্ত মশায় ভরা বাক্সে ঢুকিয়েছিলেন। কতগুলি মশা জামায় বসছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা গেছে, এই ডিটারজেন্টে ধোয়া কাপড়ে মশা বসার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
গবেষকদের দাবি, মশার সূচের মতো শুঁড় সহজেই কাপড় ভেদ করতে পারে—তাই প্রথমেই দরকার কাপড়ে মশা নামতে না দেওয়া। স্মার্ট ডিটারজেন্ট ঠিক সেই কাজটাই করে। ডিটারজেন্টের সক্রিয় উপাদানগুলি ধোয়ার সময় তন্তুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে জামাকাপড়কে মশার কাছে অনাকর্ষণীয় করে তোলে। উপাদানগুলি মশার গন্ধ ও স্বাদ-গ্রাহক সেন্সর দুটিকেই প্রভাবিত করে।
গবেষণা দল ইতিমধ্যেই এই উদ্ভাবনের জন্য পেটেন্ট দাখিল করেছে। যেহেতু জামাকাপড় নিয়মিত ধোয়া হয়, প্রতিবার ধোয়ায় এই মশা প্রতিরোধী স্তর নতুন করে তৈরি হয়। ফলে প্রভাব স্থায়ী, ব্যবহারেও সুবিধাজনক।
