একটি চিঠি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.টেক (CSE ও স্পেশালাইজেশন) দ্বিতীয় বর্ষ এবং বি.সি.এ. দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের রবিবার অনুষ্ঠিতব্য প্রধানমন্ত্রী মোদির অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। সেই উপস্থিতি ‘ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরা’ (Indian Knowledge System) কোর্সের অংশ হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রতিটি অংশগ্রহণকারীকে ৫০টি ইন্টারনাল নম্বর দেওয়া হবে।
advertisement
এই ভুয়ো চিঠি ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক ছড়ায়, যা পরে পিআইবি খণ্ডন করে জানায়—এমন কোনও নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা হয়নি। চিঠিতে বলা হয়েছিল, দেবভূমি উত্তরাখণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.টেক (সি.এস.ই.) এবং বি.সি.এ. দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। উপস্থিতির জন্য তাঁদের ‘ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরা’ কোর্সে ৫০টি ইন্টারনাল নম্বর দেওয়া হবে।
চিঠিটি ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে হইচই পড়ে যায়। সমাজমাধ্যমে এই পোস্ট শেয়ার করেন আইনজীবী ও সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণ। তিনি লেখেন, “মোদির সভায় যোগ দিলে ৫০ নম্বর! আর ‘মোদি মোদি’ স্লোগান দিলে কত নম্বর?”
উত্তরাখণ্ড কংগ্রেস মুখপাত্র গরিমা মেহরা দাসাউনি অভিযোগ করেন, বিজেপি কর্মী জোগাড় করতে না পেরে ছাত্রছাত্রীদের ৫০ নম্বরের লোভ দেখিয়ে জোর করে সভায় পাঠাতে চাইছে।
এরপর প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) জানায়, চিঠিটি সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এমন কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। “এ ধরনের ভুয়ো তথ্যের ফাঁদে পা দেবেন না। কেবলমাত্র নির্ভরযোগ্য ও সরকারি সূত্রের তথ্য বিশ্বাস করুন,”—বিবৃতিতে জানানো হয়।
দেবভূমি উত্তরাখণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও পৃথক এক বিবৃতিতে জানায়, “আমাদের নজরে এসেছে যে এক ভুয়ো নোটিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে। সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অফিসিয়াল নোটিশ নয়, তাতে কোনও অনুমোদিত স্বাক্ষর বা রেফারেন্স নম্বরও নেই। অনুগ্রহ করে কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্যকেই সত্য বলে গণ্য করুন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারও কঠোর ভাষায় জানান, “এই ভুয়ো চিঠির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা এর দায়ভার নিচ্ছি না।”
