ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এই নিয়ে বিশেষ রিসার্চ শুরু করেছে যাতে পরীক্ষা করে দেখা হবে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল তাতেই কী অবশেষে পৌঁছে গেল ভারত ৷ একের পর এক পর্বে লকডাউন করে ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণই আটকানোর ভাবনা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু হঠাৎ করেই যেভাবে রোজ সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে তাতে কি সত্যিই কি গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেল৷
advertisement
৭৫ টি জেলার মধ্যে বিভিন্ন রেড জোন রয়েছে ৷ এরমধ্যে দিল্লি, মুম্বই, পুণে, আগ্রা, আহমেদাবাদ, আর থানের মতো জায়গা রয়েছে ৷ ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে ১১৬৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন ৷ যার জেরে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে মোট সংক্রমিত ২০, ২২৮ ৷ এই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭৮০ জনের ৷
দিল্লি ও গুজরাতেও করোনা সংক্রমণের ভয়াল আকার নিয়েছে ৷ এই দুটি রাজ্যে সংক্রমিতের মোট সংখ্যা ৬ হাজার ৷ মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে মোট সংক্রমিত ১২, ৮৬৪ ৷ শুধু মুম্বইতে মৃত্যু হয়েছে ৪৮৯ ৷ থানে ও পুণেতেও আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে ৷ মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে আক্রান্ত ১৭০০ ৷ রাজস্থানের জয়পুরে হাজারের ওপরে আক্রান্ত ৷ যোধপুর ও গুজরাতের সুরাতে ৮০০ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০ ৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত রাজ্যকে জানিয়েছে সিভিয়র অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি ইলনেস বা SARI ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগীদের দিকে বিশেষ নজর রাখতে বলেছে৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে এই রোগীদের দিকে নজর রাখলে করোন ভাইরাসের সংক্রমণের ওপর নজর রাখা যাবে ৷
র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট বাড়িয়ে আইসিএমআর গোষ্ঠী সংক্রমণ বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের বিষয়টি দেখতে চাইছে ৷