এক সাক্ষাৎকারে ICMR প্রধান বলছেন, যে সমস্ত জেলাতে ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণের হার সেগুলিতে লকডাউন জারি রাখা উচিত। এই মুহূর্তে দেশের ৭১৮টি জেলার ৩/৪ অংশে করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে রয়েছে দেশের বেশ কিছু বড় শহর যেমন নয়াদিল্লি, মুম্বই ও বেঙ্গালুরুও। বলরাম ভার্গভই প্রথম সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিক যিনি দেশের বড় অংশে লকডাউন জারি রাখার কথা বলছেন। যদিও মোদি সরকার প্রথমেই বলে দিয়েছে তারা সম্পূর্ণ লকডাউনের কথা ভাবছে না কারণ এতে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব না পড়ে।
advertisement
ICMR প্রধান বলছেন, "যে সমস্ত জেলায় পজিটিভিটির হার বেশি সেগুলিতে লকডাউন জারি রাখা উচিত। এই জেলাগুলিতে সংক্রমণের হার যখন ১০ শতাংশ থেকে নেমে ৫ শতাংশ হবে তখন আবার লকডাউন তুলে দেওয়া যাবে। কিন্তু সেটা হতে হবে।" তিনি দিল্লির কথাও তুলে ধরেন। দিল্লিতে সংক্রমণের হার পৌঁছেছিল ৩৫ শতাংশে। এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ শতাংশে। তাই তিনি বলছেন, "এখন যদি দিল্লিতে লকডাউন তুলে দেওয়া হয় তা হলে অবস্থা সাংঘাতিক হবে।"
সরাসরি মোদি সরকারের সমালোচনা না করেও ICMR প্রধান দাবি করেছেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের রাশ টানতে যথার্য ব্যবস্থা নিতে দেরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, গোটা দেশে দ্বিতীয় ঢেউতে করোনার জন্য বেলাগাম অবস্থা। প্রতিদিন ৩৫০,০০০ লক্ষের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। হাসপাতাল ও মর্গে জায়গা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থাও শোচনীয়। যদি বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সংখ্যাটা সামনে আসছে তার থেকেই ১০ গুণ বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বেলাগাম পরিস্থিতির জন্য অনেকেই দায়ী করছেন মোদি সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে। কারণ কোনও করোনা বিধি না মেনেও তাঁরা রাজনৈতিক মিছিল ও সভা করেছে।