স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ২টো ১০ মিনিটে নাগাদ আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে তেজস। বিস্ফোরণের সময়েই মারা যান নমংশ।
নমংশ সিয়ালের বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলপ্রধান জগন্নাথ সিয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি সেই সময়ে ইউটিউবে ছেলের বিমানের কসরতের ভিডিওই দেখছিলেন।
এই প্রসঙ্গে পুত্র হারানো পিতা বলেন, “ছেলে বলেছিল টিভি বা ইউটিউবে এয়ারশো দেখে নিও।” সেটাই ছেলের সঙ্গে তাঁর শেষ কথা বলে জানান তিনি।
advertisement
শুক্রবার সন্ধেয় ইউটিউবে ছেলের এয়ারশো-এর ভিডিও খুঁজছিলেন জগন্নাথ। সেই সময়েই দুবাই-তে তেজসের ভেঙে পড়ার দৃশ্য দেখতে পান তিনি। এরপরেই পুত্রবধূকে ফোন করেন তিনি। তিনিও বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার। কোর্সের সূত্রে তিনি আপাতত কলকাতায় ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই একজন এয়ারফোর্স আধিকারিক দরজায় এসে দাঁড়ান। তখনই জগন্নাথের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় তাঁর ছেলে আর ঘরে ফিরবে না।
নমংশের স্ত্রী বর্তমানে কলকাতায় প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তাঁর বাবা-মা দুই সপ্তাহ আগে কাংড়া থেকে কোয়েম্বাটুরে এসেছিলেন নাতনি আর্যার (৬) দেখাশুনা করতে এসেছিলেন। দুর্ঘটনার পর থেকে গোটা পরিবার বাকরুদ্ধ। পরিবার সূত্রে খবর, নমংশ খুব শীঘ্রই স্কোয়াড্রন লিডার থেকে প্রমোশন পাওয়ার কথা ছিল।
