দিন কয়েক ধরে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব বাকি বিরোধী দলগুলির খোঁচা দেওয়া এবং বিদ্রূপ করার সুযোগ হয়ে উঠেছে৷ বিজেপি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Mazumder) ও রীতেশ তিওয়ারি (Ritesh Tiwari)৷। বরখাস্ত হয়েই কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন দুই বিজেপি নেতা৷ খোদ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mazumder) যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে আসলে তৃণমূলকেই সুবিধা করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তখনও ট্যুইটে খোঁচা দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তাঁর দাবি, বিজেপি ছাড়ার সময় তিনি যা বলেছিলেন, এখন সেটাই নাকি প্রমাণিত হচ্ছে। লেখেন, ‘পাঁচ মাস আগে বিজেপি সম্পর্কে আমি যা বলেছিলাম, এখন তার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। অজন্তা সার্কাসের পূর্ববর্তী ‘রিং মাস্টার’ দিয়ে শুরু হয়েছিল জোকারদের উত্থান। দেখতে থাকুন, প্রত্যাখ্যাত হতে হতে বিজেপি দ্রুত পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিলুপ্ত হবে।’ পাশাপাশি এও লেখেন, ‘বাংলা বিজেপির যাঁরা বাংলার মানুষের হয়ে কাজ করতে চান তাঁরা এখন ইস্তফা দিচ্ছেন।’ আবারও সেই সার্কাস কটাক্ষ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর৷
আরও পড়ুন: কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই ফের দুর্যোগ! সরস্বতী পুজোয় রাজ্যের 'এই' জেলায়গুলিতে তুমুল বৃষ্টি
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান করেন বাবুল। একাধিক বার একাধিকভাবে তাঁর দিকে ধেয়ে এসেছিল তির্যক মন্তব্য৷ সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গিয়েছিল কটাক্ষে৷ তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলেছিলেন বিজেপি নেতাদেরই একাংশ৷ তবে বাবুল অবশ্য সাংবাদিক বৈঠকে একাধিকবার বলেছেন, যা তাঁর সঠিক মনে হয়, তিনি তাই করবেন৷ তবে শিল্পী হওয়ায় তাঁর আবেগ বেশি৷ ফলে মানুষের কথা তাঁকে আঘাত করে যথেষ্ট৷
আরও পড়ুন: 'যাঁদের বিতর্ক করার অভ্যেস তাঁরা বিতর্ক করবেনই', বললেন রুদ্রনীল ঘোষ
একদিকে রীতেশ-জয়প্রকাশ৷ অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর৷ তাঁর পিকনিক রাজনীতি দেখে মুখ টিপে হাসাহাসি করছেন বিজেপিরই একাংশ৷ নেতা-বিধায়কদের নিয়ে দফায় দফায় পিকনিক করেছেন শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। তাঁকে পাল্টা দিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে পিকনিক করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এ যেন ছেলেবেলার খেলা৷ দলে নেয়নি, আমিও আমার টিম বানাবো গোছের ব্যাপার৷ পুরো বিষয়টিকেই বাবুলের সার্কাস মনে হয়েছে৷ তাঁর বক্তব্য থেকে এও পরিষ্কার যে তিনি কোনওভাবেই তৃণমূলে এসে পস্তাচ্ছেন না৷