অভিযোগ অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেই ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী। অভিযুক্ত মহিলা শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হননি, বরং সুযোগ বুঝে প্রথম স্ত্রী-এর গোপনাঙ্গে ফেভিকুইক লাগিয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে তার স্বামীও যুক্ত ছিলেন। ভুক্তভোগী মহিলার দাবি, তার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসার পর স্বামী ও সতীন মিলে তাকে নির্যাতন করতেন। বর্তমানে মহিলা থানায় ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন এবং চিকিৎসার জন্য তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: চোখ লেগে গিয়েছিল ড্রাইভারের, ট্যাঙ্কারের সঙ্গে ভয়ঙ্কর সংঘর্ষে খাদে পড়ে গেল বাস! মৃত ৮ আহত একাধিক
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জমুই নগর থানা এলাকায়। ভুক্তভোগী মহিলার অভিযোগ, তার সতীন তাকে মারধর করার পাশাপাশি ঘুমন্ত অবস্থায় গোপনাঙ্গে ফেভিকুইক লাগিয়ে দেন। পরে স্বামী দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে পালিয়ে যান। বৃহস্পতিবার দিন এই ঘটনা ঘটে যখন ভুক্তভোগী মহিলা ঘুমিয়ে ছিলেন।
ভুক্তভোগী জানান, “আমি বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলাম, আমার সতীনও এসে বিছানায় ঘুমায়। পরে আমি যখন ঘুমিয়ে পড়ি, তখন সে সুযোগ নিয়ে ফেভিকুইক লাগিয়ে দেয়। ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে গিয়ে আমি সমস্যার মুখোমুখি হই। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আমি পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানাই।”
আরও পড়ুন: দশম শ্রেণি পাস করেই ডাক্তার! জাল মেডিকেল ডিগ্রি র্যাকেট ফাঁস পুলিশের, গ্রেপ্তার ১০ ভুয়ো ডাক্তার
ভুক্তভোগী আরও বলেন, “আমার স্বামী এবং সতীন চায় আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাই। আমি থানায় অভিযোগ জানাই, এরপর আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
মহিলার অভিযোগ, ২০১৬ সালে তার বিয়ে হয় এবং শুরুর দিকে সব কিছু ঠিকঠাক ছিল। তার দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু তিন মাস আগে তার স্বামী রঞ্জিত সাউ গ্রামের এক মহিলাকে (যার দুই সন্তান রয়েছে) নিয়ে পালিয়ে যান এবং তাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে স্বামী তাকে মারধর করতে শুরু করেন এবং তাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিলেন।
মহিলা থানার ইনচার্জ প্রীতি কুমারী জানিয়েছেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। মহিলা তার স্বামী এবং সতীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”