অভিযোগ, বিবাহবার্ষিকীর দিন শাশুড়ির হেনস্থার শিকার হয়ে আত্ম*ঘাতী হন ওই মহিলা। মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। কারণ সেদিন তাঁর বিবাহবার্ষিকী ছিল এবং ওই দিনই তিনি আত্ম*হত্যা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গাড়হড়া থানা এলাকার কিল গ্রামে।
advertisement
মৃত জ্যোতি কুমারী কিল গ্রামের বাসিন্দা বিট্টু কুমারের স্ত্রী, তিনি বর্তমানে শ্রীনগরে কর্মরত। ঘটনার বিষয়ে মৃতের বাবা ধরম কুমার জানান, জ্যোতি কুমারীকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতেন শাশুড়ি, গালিগালাজ করতেন। সেই সব দিনের পর দিন সহ্য করতে করতে হাফিয়ে উথেছিলেন জ্যোতি, তারপরেই এদিন এই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন।
জ্যোতির বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, জ্যোতির শাশুড়ির সঙ্গে বহুবার কথা বলে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। তা সত্ত্বেও জ্যোতির উপর অত্যাচার চলতে থাকে। তিনি জানিয়েছেন, গত ৩১ মে ছিল জ্যোতির বিবাহবার্ষিকী। এদিন শাশুড়ির বকুনিতে ক্ষুব্ধ হয়ে জ্যোতি নিজেকে শেষ করে ফেলেন। জ্যোতির স্বামী শ্রীনগরে কর্মরত। তিনি জানিয়েছেন, মাত্র ২ বছর আগে বিট্টু কুমারের সঙ্গে জ্যোতি কুমারীর বিয়ে হয়।
জ্যোতি এবং বিট্টুর এক ছেলে রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি তাঁকে লাগাতার অত্যাচার করতেন, যার জেরে আত্ম*হত্যা করেন জ্যোতি। এ সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি গাঁড়াহড়া থানায় জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বেগুসরাই সদর হাসপাতালে পাঠায়।