এদিন হরদীপ পুরি বলেছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার দেনার পরিমাণ ৬০ হাজার কোটি টাকা। আমাদের সামনে দুটি রাস্তা খোলা। হয় সম্পূর্ণ বিলগ্নিকরণ করতে হবে! না হলে এই সংস্থা তালাবন্ধ করে দিতে হবে। এয়ার ইন্ডিয়া দেশের সম্পদ। তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই সংস্থা নিয়ে সরকারকে ঝক্কি সামলাতে হচ্ছে। এদিকে আবার রাষ্ট্রীয় সম্পদের অস্তিত্ব রক্ষারও ব্যাপার রয়েছে। তাই এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব এবার নতুন কারও হাতে ওঠাই ঠিক বলে মনে হয়। ইতিমধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া একশো শতাংশ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এর আগেও অবশ্য এই নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তবে শেষপর্যন্ত রুগ্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে কেন্দ্র।
advertisement
২০১৮ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়া কেনার আগ্রহ দেখায়নি কোনও সংস্থা। মাঝে শোনা গিয়েছিল, নিলামে এয়ার ইন্ডিয়া কেনার আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে টাটা। কিন্তু সেই সম্ভাবনাও অচিরেই হারিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে বাজেট অধিবেশনে এয়ার ইন্ডিয়ার আর্থিক পুনর্গঠনের জন্য ২২৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই টাকাও এয়ার ইন্ডিয়ার আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি করতে পারল না। এখন দেখার, দেনায় ডুবে থাকা রাষ্ট্রাত্ত সংস্থা কেনার জন্য এবার কেউ আগ্রহ দেখায় কি না!
