ভাইজাগে এলজি পলিমার্স ইন্ডাস্ট্রির এই কারখানাটি ১৯৬১ সাল থেকে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে বিশাখাপত্তনমে। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংস্থার অংশীদারিও ছিল এই সংস্থায়। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, ওই কারখনায় স্টাইরিন জাতীয় এক ধরনের রাসায়নিক মজুত ছিল। মার্চে লক়়ডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এই সংস্থা পুরোপুরি কাজ বন্ধ করে দেয়। ফলে গুদামবন্দি হয়ে পড়েছিল বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক।
advertisement
বিশাখাপত্তনমের পশ্চিমাঞ্চলের অ্যাসিস্টেন্ট পুলিশ কমিশনারের বয়ান অনুযায়ী, অন্তত ৫০০০ টনের দুটো ট্যাঙ্ক পাশাপাশি রাখা ছিল কারখানার ভিতরে। মার্চ থেকে সেই রাসায়নিকে হাত দেওয়া হয়নি। নিজে থেকেই বিক্রিয়া শুরু করে এই রাসায়নিক। এই বিক্রিয়াতেই ট্যাঙ্কের ভেতর উৎপন্ন হয় প্রবল তাপ। সেখান থেকেই গ্যাস লিক শুরু হয়।
কারখানা থেকে গ্যাস লিক করতে শুরু করে রাত সাড়ে তিনটে খবর পেয়েই ঘটনা স্থলে পৌঁছে যায় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী। শুরু হয় লোক সরানোর কাজ। কিন্তু ততক্ষণে আশেপাশের মানুষ অসুস্থ হতে শুরু করেছেন। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন কারখানার ভিতরে কাজের সুবাদে থাকা মানুষজন। চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গগুলি দেখা দিতে থাকে। তড়িঘড়ি তাঁদের কিং জর্জ হাসপাতালে নিয়ে হয়। খালি করা হয় আশেপাশের গ্রামগুলিও।
দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, আশেপাশের ৮০-৯০ শতাংশ জায়গাই খালি করে দেওয়া হয়েছে। যে কোনও ট্রেন যাতায়াতও বন্ধ নিকটবর্তী সিমাচলম স্টেশন থেকে।