বন্ধুর সেই উপকার, আমৃত্যু ভোলেননি৷ বন্ধু অরুণ জেটলি কেমন ছিলেন, CNN-News18-কে সেই স্মৃতি শেয়ার করলেন রঞ্জিত৷ তাঁর কথায়, 'আমি ওই প্রগাঢ়় বন্ধুত্বটা খুব মিস করব৷ এমন একজন মানুষ ছিল, যে কখনও মাথা গরম করেনি৷ যখনই প্রয়োজন হয়েছে, পাশে দাঁড়িয়েছে৷'
advertisement
প্রথমবার জেটলির সঙ্গে যখন দেখা হয়েছিল তাঁর, সেই স্মৃতিটা কেমন ছিল? রঞ্জিত কুমারের কথায়, '১৯৭৪ সাল৷ হিন্দু কলেজে আমি স্নাতকের প্রথম বর্ষের ছাত্র৷ জেটলি তখন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন৷ আমিও অরুণ জেটলির জন্য তদ্বির করা শুরু করি৷'
অরুণ জেটলির ব্যক্তিত্ব ছিল চোখে পড়ার মতো৷ রঞ্জিত কুমার বলছেন, 'আপনার সঙ্গে যদি একবার দেখা করতেন, আপনাকে সারাজীবন মনে রাখতেন৷ এমন এক ব্যক্তিত্ব ছিল, একবার দেখা করলে, মনে হত ওর পাশেই ঘোরাঘুরি করি৷ প্রচুর শেখার, জানার জন্য৷ নিজেকে ওই উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন৷'
১৯৯৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত লোধি গার্ডেনে এক সঙ্গে মর্নিংওয়াক করতেন অরুণ জেটলি ও রঞ্জিত কুমার৷ 'দুর্দান্ত কাটত দিনগুলো৷ আমরা সকালে চুটিয়ে আড্ডা মারতাম, ঠাট্টা-ইয়ার্কি করতাম৷ জেটলির স্মৃতি শক্তি ছিল প্রখর৷ ১৯৬০ সালে কোনও সিনেমা হয়ত দেখেছেন, বা গান শুনেছেন, হুবহু বলে দিতে পারতেন৷ কখনও রাগতে দেখিনি৷ জীবনের শেষ দিন পর্যন্তও ঠান্ডা মাথার ব্যক্তিত্ব৷' বলতে বলতে চোখে জল বন্ধুর৷
আরও ভিডিও: 'আপনার ফিটনেসের ১০ শতাংশ পেলেও অনেক দিন কাজ করতে পারতাম'...