ল্যান্ডার বিক্রমের অবস্থান তো জানা গেল। কিন্তু, এর ভবিষ্যৎ কী ? বিক্রম কি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে ? তার সঙ্গে কি যোগাযোগ করা যাবে ? বিক্রম কি ঠিক ভাবে কাজ করতে পারবে ? ইত্যাদি অনেক প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে ৷
পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমির অধিকর্তা সঞ্জীব সেন জানান, ‘‘ কীভাবে বিক্রম ল্যান্ড করেছে সেটা জানা গুরুত্বপূর্ণ। সমতলের উপর চারটি পা যদি না থাকে, যদি বেঁকে ল্যান্ড করে তা হলে কতটা কাজ করতে পারবে সেটা চিন্তার বিষয় ৷ আঘাত কতটা সেটা ক্লিয়ার নয় ৷ সোলার প্যানেলেই চলবে। সেটা ঠিক না থাকলে কাজ হবে না। একটা অ্যান্টেনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলেই কাজ হবে। অ্যান্টেনা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা দেখতে হবে। আড়ালে পড়ে গেলে তাহলে কাজ হবে না। ১২ ডিগ্রি পর্যন্ত ঠিক আছে। না হলে উল্টে পড়বে। সেটা হলে হবে না ৷ অ্যান্টেনার সঙ্গে যোগাযোগ দরকার। সূর্যের আলো ঠিক মতো না পড়লে এনার্জি জেনারেশন হবে না। তখন সিংক হয়তো নাও হতে পারে ৷ ’’
advertisement
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিক্রম যদি ঠিক মতো চাঁদের জমিতে না নামে, তা হলে প্রজ্ঞানের বের হওয়ার জন্য দরজাই খুলবে না। যেমন আলমারির ক্ষেত্রে হয়। একদিক হেলে থাকলে অনেক সময় দরজা খোলে না
মহাকাশবিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী জানান, চারটে পায়ে যদি দাঁড় করাতে না পারি বা ১২ ডিগ্রি বেঁকে পড়ে তা হলে দরজাই খুলবে না। অনিয়ন্ত্রিতভাবে পড়লে উল্টে যেতে পারে। তখন আর প্রজ্ঞান বের হতে পারবে না।
বিক্রমের কাছে সময়ও বেশি নেই। হাতে মাত্র চোদ্দ দিন। এর মধ্যেই সূর্যের আলোয় সোলার প্যানেলের চার্জ হতে হবে। কিন্তু, বিক্রম ঠিক মতো নামতে না পারলে সেটাও সম্ভব নয়।
বিক্রমের অবস্থান জানা গেলেও, তাকে কতটা কাজে লাগানো যাবে, তার সঙ্গে আদৌ যোগাযোগ করা যাবে কি না, বিক্রম যদি কাজ না করে, তা হলে কি প্রজ্ঞান কোনও ভাবে কাজ করতে পারবে? এরকমই নানা প্রশ্ন ঘিরে এখন ধোঁয়াশা।
আরও দেখুন-