প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অমিত শাহের গলাতেও একই দাবি উঠে এসেছিল। তিনিও দাবি করেছিলেন পিওকে এবং আকসাই চিন ভারতের অংশ হবে। পিওকে নিয়ে আগে থেকেই রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করেছেন নানা বিজেপি নেতা। ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই মোদি সরকার কাশ্মীর নিয়ে তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছিল। প্রথমে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। এরপর ২০১৯-র লোকসভা ভোটের আগে সার্জিকাল স্ট্রাইক হয়েছিল। যা নিঃসন্দেহে নরেন্দ্র মোদিকে রাজনৈতিক ডিভিডেন্ট দিয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলের মত।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোররাতে উল্টোডাঙ্গার পথে এ কী পড়ে! চমকে ওঠা দৃশ্য, এক অটোচালকের দাবিতেও রহস্য
এবার ২০২৪-এর লক্ষ্যেও সেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকেই নিয়ে এলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল পাটিল। তিনি বলেছেন, ''২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে। দেখতে থাকুন কী হয়।'' তাঁর সংযোজন, ''প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশের জন্যই অত্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন।''
আরও পড়ুন: ভোটের আগেই শিলিগুড়িতে গুরুতর অভিযোগ, ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপি
রাজনৈতিক মহলের মতে, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখেই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিওকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। কারণ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই পাকিস্তান যেন একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজেপি গো-বলয়ের বৃহত্তম রাজ্যের ভোট প্রচারে বারেবারেই টেনে এনেছে পাকিস্তানকে। পাটিল আরও বলেন, ''আমরা সকলেই জানি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন নরসিমা রাও স্বীকার করে নিয়েছিলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কাশ্মীর। পাক অধিকৃত কাশ্মীর যতদিন না ভারতের অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে, ততদিন এই সমস্যা মিটবে না। তবে সেই সমস্যা মিটতে আর খুব বেশি সময় লাগবে না। বছর দুয়েকের মধ্যেই পিওকে চলে আসবে ভারতের হাতে।''