দাউ দয়াল, এই কর্মকাণ্ডের কাণ্ডারি জানালেন, ‘আমাদের মুসলিম ভাইয়েরা নকশা প্রস্তুতি, পালিশের কাজে পটু। আর এতবড় একটি ঘণ্টা বানাতে গেলে অনেকরকম জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনাকে পদে পদে দেখতে হবে, একটি ছোট্ট ধাপেও যেন আপনার কোনও ভুল না হয়ে যায়। ভয় কাজ করছিল মনে মনে। কাজটি ভাল না হলে! গলিত ধাতবটি ঢালতে গিয়ে যদি পাঁচ সেকেন্ডেরও দেরি হয়ে যায়, তাহলে পুরো খাটনিটা জলে যাবে। শুধু পিতল দিয়ে তৈরি নয় এই ঘণ্টাটি। অষ্টধাতু দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বর্ণ, রৌপ্য, তামা, দস্তা, সীসা, টিন, লোহা এবং পারদ। কিন্তু অন্যদিকে আমাদের মধ্যে উত্তেজনাও কাজ করছিল। রাম মন্দিরের জন্য ঘণ্টা বানানোর অর্ডার যে!’
advertisement
দয়াল গত ৩০ বছর ধরে ঘণ্টা তৈরির কাজ করে আসছেন। কিন্তু এতবড় কাজ প্রথম করছেন। চার প্রজন্মের ব্যবসায় প্রথম এত বড় দায়িত্ব তাঁকে নিতে হয়েছে। তাই আনন্দ থাকলেও ভয় ছিল প্রথম থেকে। তবে ভরসা ছিল হিন্দু, মুসলিম ভাইয়েরা একসঙ্গে কাজটা উতরে দিতে পারবেন। সেই কাজের জন্য তাঁরা সফল। মোট ২৫ জন হিন্দু মুসলিম কর্মী মিলে সময়ের মধ্যেই তৈরি করতে পেরেছেন ঘণ্টাটি।