মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ট্যুইটে জানানো হয়েছে ‘সোলান জেলায় ধাওলা সাব তহশিলে জাদোন গ্রামে মর্মান্তিক মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। শোকগ্রস্ত পরিবারদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। এই কঠিন সময়ে আপনাদের যন্ত্রণা ও দুঃখ আমরা ভাগ করে নেব।’’
হিমাচলের পার্বত্য অংশে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবারের বিএড-সহ স্নাতকোত্তরের সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারী বর্ষণের জেরে হিমাচল জুড়ে ভেঙে পড়েছে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক পরিবহণ, বিদ্যুত এবং পানীয় জল-সহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কাছে আবেদন রাখা হয়েছে।
advertisement
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ভারী বর্ষণের কারণ পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থান করছে বর্ষণরেখা। একইসঙ্গে আছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাব। সোমবারও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে চাম্বা, কাংড়া, হামিরপুর, মান্ডি, বিলাসপুর, সোলান, শিমলা, কুল্লু এবং সিরমৌর জেলার বিভিন্ন অংশে।
প্রসঙ্গত চলতি বর্ষার মরশুমে বর্ষণ ও ধসের জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচল প্রদেশ। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ৭০২০.২৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা গিয়েছে। গত ২৪ জুন থেকে হিমাচল প্রদেশে চলছে বর্ষার দাপট। এখনও পর্যন্ত ধস, হড়পাবান-সহ নানা কারণে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২৫৭ জন। প্রবল বর্ষণে ধসে গিয়েছে ১৩৭৬ টি বাড়ি। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭৯৩৫ টি বাড়ি। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে ৯০ টি ধস ও ৫৫ টি হড়পা বানের ঘটনা ঘটেছে। ২টি জাতীয় সড়ক-সহ ৪৫০ টি রাস্তা এখনও বন্ধ। বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ ও পানীয় জল পরিষেবা৷