স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর কুড়ির তরুণীর নাম তুনেজা ঠাকুর,ভূমিধসের দিন ওই গ্রামেই ছিলেন তিনি। হঠাৎ প্রবল দুর্যোগে আটকে পড়েন তিনি। এরপরেই বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন তুনেজা। কাদা-মাটির নিচে চাপা পড়ে যান তিনি। কিন্তু হার মানেননি তুনেজা। ওই কাদা-মাটি, পাথরের মধ্যে হাত দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে শ্বাস নেওয়ার মতন জায়গা বানিয়ে নেন তিনি। টানা পাঁচ ঘণ্টা আটকে থাকার পর তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: সিটের নীচে শুয়ে কে..? আচমকা ৪০ মিনিট থমকে গেল চলন্ত ট্রেন! পরমুহূর্তে কেঁপে উঠলেন যাত্রীরা
কাদা, মাটি এবং পাথরের নিচে তুনেজা যখন ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছিলেন তখনও তিনি হার মানেন নি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “মাটির মধ্যেই আমি শ্বাস নেওয়ার মতন জায়গা করে নিয়েছিলাম।”
তুনেজা যখন বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তখন পাঁচ ঘণ্টা ধরে পাগলের মতন খুঁজে গিয়েছেন তাঁর পরিবারের লোক থেকে গ্রামবাসীরা। শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় থাককালীন অবস্থাতেও দাঁতে দাঁত চিপে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তুনেজা। তিনি বলেন, “আমি জানতাম আমি যে কোনও ভাবে ঠিক বেরিয়ে আসবই।”
গত ৩০ জুন হড়পা বানে তছনছ হয়ে যায় হিমাচলের বহু এলাকা। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে প্রবল দুর্যোগে ধস্ত হয়ে পড়ে অনেক জায়গা। ওই দিনের কথা মনে করতে গিয়ে বারবার শিউরে উঠছেন বছর কুড়ির তুনেজা। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “ওই সময় সকলে ঘরের বাইরে ছুটে বেরিয়ে আসেন। তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। ঘরের মধ্যে জল ঢুকে আসছিল। সকলে আতঙ্কে চিৎকার করছিল। আমি আমার বাড়ির কাছেই নিরাপদ জায়গার খোঁজে বেরিয়ে কিছু এগোতেই হঠাৎ তলিয়ে যাই।”
সাক্ষাত মৃত্যুর সামনে থেকে ফিরে জীবন ফিরে পেয়েও ওইদিনের ঘটনা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না তরুণী।